ইশতেহারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৩৫ প্রতিশ্রুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৩০
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। ফাইল ছবি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপি-প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জনগণের হারানো মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইশতেহারে ৩৫টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেলে ইশতেহার পাঠ করেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ১৪ প্রতিশ্রুতি সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
ইশতেহার ঘোষণার শুরুতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এসময় ঐক্যফ্রন্ট বিজয়ী হলে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা এবং সংবিধানে প্রতিশ্রুত দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
ইশতেহারে দেওয়া ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিধান, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া, পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না, বাতিল করা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম পুরোপুরি বন্ধ, অর্থপাচার রোধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম এক বছর তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না।
পাশাপাশি চাকরিতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ছাড়া সব ধরনের কোটা বাতিল, পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাতিল, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে বয়সসীমা থাকবে না, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যকার্ডের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ইশতেহারে।
ইশতেহারে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে সংশোধন আনা, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ এবং সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনেরও কথা বলা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের নেতা রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৩০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপি-প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জনগণের হারানো মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইশতেহারে ৩৫টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেলে ইশতেহার পাঠ করেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ১৪ প্রতিশ্রুতি সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
ইশতেহার ঘোষণার শুরুতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এসময় ঐক্যফ্রন্ট বিজয়ী হলে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা এবং সংবিধানে প্রতিশ্রুত দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
ইশতেহারে দেওয়া ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিধান, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া, পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না, বাতিল করা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম পুরোপুরি বন্ধ, অর্থপাচার রোধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম এক বছর তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না।
পাশাপাশি চাকরিতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ছাড়া সব ধরনের কোটা বাতিল, পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাতিল, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে বয়সসীমা থাকবে না, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যকার্ডের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ইশতেহারে।
ইশতেহারে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে সংশোধন আনা, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ এবং সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনেরও কথা বলা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের নেতা রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।