অনশন চালিয়ে যাবেন লতিফ সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫০
সোমবার টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমরণ অনশরত লতিফ সিদ্দিকীকে দেখতে আসেন স্থানীয় নেতারা। ছবি: দেশ রূপান্তর
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ থেকে পদচ্যুত নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
রোববার নির্বাচনী গাড়িবহরে হামলার পর বিচার দাবিতে প্রথমে অবস্থান ও পরে অনশন শুরু করেন লতিফ সিদ্দিকী। সোমবার দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয়া লিখিত ঘোষণায় তিনি বলেন, আমার অনশন ধর্মঘটের ১৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার। ঘোষণায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার যদি কোনো ক্ষতি হয় সে জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে বলে ঘোষণা দিচ্ছি’।
রোববার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল-বল্লভবাড়ি এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারে হামলায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবাদে রোববার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি নিয়ে এসে তিন দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর দাবিগুলো হচ্ছে, কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও সরকার দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন পর্যন্ত আর কোনো সহিংসতামূলক কার্যকলাপ করবে না মর্মে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মুচলেকা প্রদান।
আমরণ অনশন ঘোষণার পর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. শরীফ হোসেন খান বলেন, লতিফ সিদ্দিকী সাহেব উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তিনি ওষুধও খাচ্ছেন না। খাবার না খাওয়ায় ধীরে ধীরে তার শরীরের সুগার কমে যাচ্ছে। এতে শরীর নিস্তেজ হয়ে শারীরিক ঝুঁকি বাড়ছে।
এর আগে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ লতিফ সিদ্দিকীকে দেখতে যান।
তখন লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার অনশন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে নয়, স্থানীয় সাংসদের সহিংসতামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৫০

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ থেকে পদচ্যুত নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
রোববার নির্বাচনী গাড়িবহরে হামলার পর বিচার দাবিতে প্রথমে অবস্থান ও পরে অনশন শুরু করেন লতিফ সিদ্দিকী। সোমবার দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয়া লিখিত ঘোষণায় তিনি বলেন, আমার অনশন ধর্মঘটের ১৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার। ঘোষণায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার যদি কোনো ক্ষতি হয় সে জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে বলে ঘোষণা দিচ্ছি’।
রোববার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল-বল্লভবাড়ি এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারে হামলায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবাদে রোববার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি নিয়ে এসে তিন দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর দাবিগুলো হচ্ছে, কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও সরকার দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন পর্যন্ত আর কোনো সহিংসতামূলক কার্যকলাপ করবে না মর্মে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মুচলেকা প্রদান।
আমরণ অনশন ঘোষণার পর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. শরীফ হোসেন খান বলেন, লতিফ সিদ্দিকী সাহেব উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তিনি ওষুধও খাচ্ছেন না। খাবার না খাওয়ায় ধীরে ধীরে তার শরীরের সুগার কমে যাচ্ছে। এতে শরীর নিস্তেজ হয়ে শারীরিক ঝুঁকি বাড়ছে।
এর আগে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ লতিফ সিদ্দিকীকে দেখতে যান।
তখন লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার অনশন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে নয়, স্থানীয় সাংসদের সহিংসতামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে।