ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার তামাশা: আ. লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:১৪
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষিত ইশতেহারকে দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এ মন্তব্য করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
‘রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া’সহ ৩৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোমবার ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে ইশতেহার ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আবদুর রহমান বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। এটা তাদের ভোটের রাজনীতির অপকৌশল। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। ”
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া চলমান রাখার ঘোষণার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের ২৩ উত্তরসূরিকে নির্বাচন করার সুযোগ দিচ্ছে, তারা আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে। এটা জাতির সাথে প্রতারণা করা ছাড়া কিছুই না। ”
ঐক্যফ্রন্টের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ করার ঘোষণার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিল। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কারাগারে আছেন। ঐক্যফ্রন্টের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’।
একটি বিশেষ গোষ্ঠী এখনো নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ধরনের চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র করছে বলে মত আবদুর রহমানের। তিনি বলেন, ড. কামালের নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়েছে। দেশের মানুষ ও ভোটাররা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষ যেকোনো চক্রান্ত রুখে দেবে। ওই সময় নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও হামলার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক , সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর সবুর প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:১৪

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষিত ইশতেহারকে দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এ মন্তব্য করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
‘রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া’সহ ৩৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোমবার ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে ইশতেহার ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আবদুর রহমান বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। এটা তাদের ভোটের রাজনীতির অপকৌশল। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। ”
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া চলমান রাখার ঘোষণার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের ২৩ উত্তরসূরিকে নির্বাচন করার সুযোগ দিচ্ছে, তারা আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে। এটা জাতির সাথে প্রতারণা করা ছাড়া কিছুই না। ”
ঐক্যফ্রন্টের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ করার ঘোষণার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিল। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কারাগারে আছেন। ঐক্যফ্রন্টের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’।
একটি বিশেষ গোষ্ঠী এখনো নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ধরনের চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র করছে বলে মত আবদুর রহমানের। তিনি বলেন, ড. কামালের নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়েছে। দেশের মানুষ ও ভোটাররা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষ যেকোনো চক্রান্ত রুখে দেবে। ওই সময় নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও হামলার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক , সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর সবুর প্রমুখ।