উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লালমোহনের মাঠ, সহিংসতার আভাস
ভোলা প্রতিনিধি | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৯
ভোলা-৩ আসনে লোহার রড ও হেলমেট পরিহিত যুবকদের মোটরসাইকেল মহড়া নির্বাচনী মাঠে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ছবি: দেশ রূপান্তর
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলা ৩ আসনের নির্বাচনী মাঠ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিগত ২০০১ সালের মত সহিংসতার আভাস পাচ্ছেন অনেকে।
সোমবার ভোলা ৩ আসনের লালমোহন উপজেলায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এ সময় তারা ভোলা-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একে অপরের দোষারোপ করেছেন। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আশঙ্কা করছেন উভয় প্রার্থী।
দীর্ঘ ৬ বছর পর নির্বাচন উপলক্ষে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিনের এলাকায় আসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সমর্থকদের সঙ্গে হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এলাকায় লোহার রড ও হেলমেট পরিহিত যুবকদের মোটরসাইকেল মহড়া আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে উভয় দলের পক্ষ থেকে।
সোমবার বিকেলে নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, লালমোহন ও তজুমদ্দিনে প্রতি রাতে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িতে লুটপাট করা হচ্ছে। রাতে বোমাবাজি হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, এলাকায় নির্বাচনী কোন পরিবেশ নেই। দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। জোড় পূর্বক আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, এই জনপদে বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ একটি আতঙ্কের নাম, নির্বাচন এলেই তিনি লাশের রাজনীতি করেন। মানুষ হত্যা করেন। তাকে নিয়ে জনগণ ভয়ে আছে। ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মানুষ এখনো ভোলেনি। তিনি এলাকায় আসার পর থেকে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠছে। এত দিন পরিবেশ শান্ত ছিলো কিন্তু তিনি এলাকায় আসার পরই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শাওন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ভোলা প্রতিনিধি | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৯

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলা ৩ আসনের নির্বাচনী মাঠ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিগত ২০০১ সালের মত সহিংসতার আভাস পাচ্ছেন অনেকে।
সোমবার ভোলা ৩ আসনের লালমোহন উপজেলায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এ সময় তারা ভোলা-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একে অপরের দোষারোপ করেছেন। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আশঙ্কা করছেন উভয় প্রার্থী।
দীর্ঘ ৬ বছর পর নির্বাচন উপলক্ষে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিনের এলাকায় আসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সমর্থকদের সঙ্গে হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এলাকায় লোহার রড ও হেলমেট পরিহিত যুবকদের মোটরসাইকেল মহড়া আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে উভয় দলের পক্ষ থেকে।
সোমবার বিকেলে নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, লালমোহন ও তজুমদ্দিনে প্রতি রাতে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িতে লুটপাট করা হচ্ছে। রাতে বোমাবাজি হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, এলাকায় নির্বাচনী কোন পরিবেশ নেই। দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। জোড় পূর্বক আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, এই জনপদে বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ একটি আতঙ্কের নাম, নির্বাচন এলেই তিনি লাশের রাজনীতি করেন। মানুষ হত্যা করেন। তাকে নিয়ে জনগণ ভয়ে আছে। ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মানুষ এখনো ভোলেনি। তিনি এলাকায় আসার পর থেকে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠছে। এত দিন পরিবেশ শান্ত ছিলো কিন্তু তিনি এলাকায় আসার পরই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শাওন।