পলাশবাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে 'গণধোলাই'
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৯
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদকে বিক্ষুব্ধ জনতা গণধোলাই দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে পলাশবাড়ী উপজেলা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আবু জাফর স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
পলাশবাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাফর সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা গেটের সামনে নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন। এসময় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পলাশ নামের এক যুবক তাকে দেখে বলেন, ‘তোমাকে কে চেনে, তুমি ভোট করছ।‘
ওসি জানান, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে ধাক্কা দিলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধোলাই দেয়। পরে আবু জাফর স্থানীয় একটি দোকার আশ্রয় নেন।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে আমি তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। এ ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।
এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় আবু জাফর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ওৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার উপর হামলা করেছে। এতে আমার নয়জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
এ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান সাংসদ ডা. ইউনুস আলী সরকার, ধানের শীষ নিয়ে জাতীয় পার্টির (জেপি) ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, লাঙ্গল নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) দিলারা খন্দকার, মশাল নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, মই নিয়ে বাসদের সাদেকুল ইসলাম, হাত পাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হানিফ দেওয়ান ও আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির মিজানুর রহমান তিতু। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আবু জাফর মো. জাহিদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৯

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদকে বিক্ষুব্ধ জনতা গণধোলাই দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে পলাশবাড়ী উপজেলা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আবু জাফর স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
পলাশবাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাফর সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা গেটের সামনে নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন। এসময় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পলাশ নামের এক যুবক তাকে দেখে বলেন, ‘তোমাকে কে চেনে, তুমি ভোট করছ।‘
ওসি জানান, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে ধাক্কা দিলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধোলাই দেয়। পরে আবু জাফর স্থানীয় একটি দোকার আশ্রয় নেন।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে আমি তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। এ ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।
এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় আবু জাফর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ওৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার উপর হামলা করেছে। এতে আমার নয়জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
এ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান সাংসদ ডা. ইউনুস আলী সরকার, ধানের শীষ নিয়ে জাতীয় পার্টির (জেপি) ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, লাঙ্গল নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) দিলারা খন্দকার, মশাল নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, মই নিয়ে বাসদের সাদেকুল ইসলাম, হাত পাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হানিফ দেওয়ান ও আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির মিজানুর রহমান তিতু। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আবু জাফর মো. জাহিদ।