নারায়ণগঞ্জ-৩
মাঠ ছাড়ছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কায়সার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৪০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। সিংহ মার্কা নিয়ে ইতিমধ্যে মাঠে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কায়সার।
কায়সার হাসনাতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে দল ও দলের বাইরে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাজোটের পক্ষে থাকলেও অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করছেন। এতে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা বেকায়দায় পড়েছেন।
কায়সারের সমর্থকরা দেশ রূপান্তরকে জানান, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমকে ৮২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। সোনারগাঁ আসনে ২৩ বছর পর আওয়ামীলীগের জয় এনে দেন কায়সার হাসনাত। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কায়সারকে মনোনয়ন না দিয়ে তার চাচা মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেন আওয়ামীলীগ। অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পান জাপার যুগ্ম-মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। সেই সময় দলের নির্দেশে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ৫ বছরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সুসর্ম্পক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন। ফলে এ আসনে লাঙ্গলের পরিবর্ততে নৌকার মনোনয়নের জন্য মাঠ চষে বেড়ান কায়সার হাসনাতসহ আরো ৮জন।
তারা জানান, জেলা নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের কাছে এ আসনটিকে মহাজোটকে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নেতাদের অনুরোধ রক্ষা না করে কেন্দ্র আবারও মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে এ আসনে মনোনয়ন দেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন কায়সার হাসনাত। এখন সিংহ মার্কা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ কায়সার হাসনাতকে নির্বাচন থেকে সরে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিলেও তিনি তা আমলে নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে কায়সার হাসনাত বলেন, আমি তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে নির্বাচন করছি। এমপি হতে আসিনি। নির্বাচনী মাঠে আছি। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থেকে জয় নিয়ে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিব।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৪০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। সিংহ মার্কা নিয়ে ইতিমধ্যে মাঠে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কায়সার।
কায়সার হাসনাতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে দল ও দলের বাইরে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাজোটের পক্ষে থাকলেও অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করছেন। এতে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা বেকায়দায় পড়েছেন।
কায়সারের সমর্থকরা দেশ রূপান্তরকে জানান, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমকে ৮২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। সোনারগাঁ আসনে ২৩ বছর পর আওয়ামীলীগের জয় এনে দেন কায়সার হাসনাত। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কায়সারকে মনোনয়ন না দিয়ে তার চাচা মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেন আওয়ামীলীগ। অপরদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পান জাপার যুগ্ম-মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। সেই সময় দলের নির্দেশে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ৫ বছরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সুসর্ম্পক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন। ফলে এ আসনে লাঙ্গলের পরিবর্ততে নৌকার মনোনয়নের জন্য মাঠ চষে বেড়ান কায়সার হাসনাতসহ আরো ৮জন।
তারা জানান, জেলা নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের কাছে এ আসনটিকে মহাজোটকে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নেতাদের অনুরোধ রক্ষা না করে কেন্দ্র আবারও মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে এ আসনে মনোনয়ন দেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন কায়সার হাসনাত। এখন সিংহ মার্কা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ কায়সার হাসনাতকে নির্বাচন থেকে সরে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিলেও তিনি তা আমলে নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে কায়সার হাসনাত বলেন, আমি তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে নির্বাচন করছি। এমপি হতে আসিনি। নির্বাচনী মাঠে আছি। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থেকে জয় নিয়ে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিব।