ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান কমরউদ্দিন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:১০
সুলতানের নিবার্চনী প্রচারনায় কমরু। ছবি: দেশ রূপান্তর
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুরের সমর্থক বিএনপি নেতা কমরউদ্দিন আহমদ কমরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মূসা গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নিজ অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর দায়ের করা একটি নারী নির্যাতন মামলায় কমরউদ্দিন আহমদ কমরুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ কমরুকে আটক করলেও ৩ ঘণ্টা আটক রেখে বিকেলে আবার ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে সেদিন রাতে হাজীপুর ইউনিয়নে সুলতান মনসুরের জনসভায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে মহাজোট প্রার্থী বিকল্পধারার এম এম শাহীন কে অভিযুক্ত করেন কমরু। জনসভায় তিনি বলেন, “আমি জীবিত আসার কথা না, আপনারা হয়ত কাল আমার লাশ পেতেন, আমার জীবন যৌবন যে শাহীন ভাইয়ের জন্য ব্যয় করলাম সে শাহীন ভাই চেয়েছিলেন, কুলাউড়াড় মানুষকে আমার লাশ উপহার দিবেন। উপস্থিত জনগণ আপনাদের কাছে সে বিচার দিলাম, কি আমার অপরাধ? আামার অপরাধ আমি সুলতান ভাইয়ের কথা বলি, আমার অপরাধ আমি ধানের শীষের কথা বলি”।
সোমবার ধরে ছেড়ে দেওয়ার পর ফের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ দেশ রূপান্তর জানান, ডুলিপাড়ার একটি নির্বাচনী সংঘর্ষে ওনার সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে আগের দিন জিজ্ঞাসাবাদ জন্য তাকে আনা হয়েছিল।
এদিকে কমর উদ্দিন আহমদ কমরুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি আসন্ন নির্বাচনে কমর উদ্দিন আহমদ কমরু ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুরের পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন বলে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:১০

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুরের সমর্থক বিএনপি নেতা কমরউদ্দিন আহমদ কমরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মূসা গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নিজ অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর দায়ের করা একটি নারী নির্যাতন মামলায় কমরউদ্দিন আহমদ কমরুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ কমরুকে আটক করলেও ৩ ঘণ্টা আটক রেখে বিকেলে আবার ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে সেদিন রাতে হাজীপুর ইউনিয়নে সুলতান মনসুরের জনসভায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে মহাজোট প্রার্থী বিকল্পধারার এম এম শাহীন কে অভিযুক্ত করেন কমরু। জনসভায় তিনি বলেন, “আমি জীবিত আসার কথা না, আপনারা হয়ত কাল আমার লাশ পেতেন, আমার জীবন যৌবন যে শাহীন ভাইয়ের জন্য ব্যয় করলাম সে শাহীন ভাই চেয়েছিলেন, কুলাউড়াড় মানুষকে আমার লাশ উপহার দিবেন। উপস্থিত জনগণ আপনাদের কাছে সে বিচার দিলাম, কি আমার অপরাধ? আামার অপরাধ আমি সুলতান ভাইয়ের কথা বলি, আমার অপরাধ আমি ধানের শীষের কথা বলি”।
সোমবার ধরে ছেড়ে দেওয়ার পর ফের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ দেশ রূপান্তর জানান, ডুলিপাড়ার একটি নির্বাচনী সংঘর্ষে ওনার সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে আগের দিন জিজ্ঞাসাবাদ জন্য তাকে আনা হয়েছিল।
এদিকে কমর উদ্দিন আহমদ কমরুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি আসন্ন নির্বাচনে কমর উদ্দিন আহমদ কমরু ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুরের পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন বলে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।