গণসংযোগে হামলা, পুলিশি বাধার অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৮
মঙ্গলবার দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের গণসংযোগে হামলা হয়। ছবি: রুবেল রশিদ
ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের গণসংযোগে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি রোডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগে বের হন আফরোজা আব্বাস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট অতিক্রম করে আফরোজা আব্বাস তিলপাপাড়ায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক সেখানে গিয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন। আফরোজা আব্বাস বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আফরোজার গণসংযোগে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর পেছন থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের দুজন নেতা ও বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা এই ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।
এ ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খিলগাঁও চৌরাস্তার পাশে ইসলামী পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের উল্টোপাশের সড়কে অবস্থান নেয়। তবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ই ডিসেম্বর প্রচারণায় নামলে আফরোজা আব্বাসের উপর হামলা হয়। এদিনও বেশ কয়জন নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে গতকাল ঢাকা-১৩ ( মোহাম্মদপুর আদাবর শেরে বাংলা নগর) আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্র্ন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস সালামের নির্বাচনী প্রচারে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
সালামের সমর্থক নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে নামলে আদাবর থানার পুলিশ এসে গণসংযোগে বাধা সৃষ্টি করে এবং গণসংযোগে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা-৪ আসন ডেমরা এলাকায় ধানের শীষের প্রচারের সময় তিন নারী নেত্রীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি জানান, এছাড়া জুরাইন এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের কর্মীরা অতর্কিতে হামলা করে। এতে ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয় এবং প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
রুহুল কবীর রিজভী আরো জানান, ঢাকা-৫ আসন যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদল সরদার নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাসায় আসার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডিবি অফিসে খোঁজ নেওয়া হলে তারা আটককের বিষয়টি অস্বীকার করে।
এছাড়া ঢাকা-৬ আসনের ৩৭নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ঐক্যফ্রন্ট নেতা নবকুমার রত্ন, ঢাকা-১১ আসনের বাড্ডা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান, ঢাকা-১৪ আসনে দুই বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, এছাড়া রামপুরায় একজন বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করে বিএনপি।
রিজভী জানান, ঢাকা-১২ আসনের তেজগাঁও থানা পুলিশ বিএনপি নেতা শিফুকে গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া পোস্টার লাগানোর সময় আবুল হোসেন ও সাঈদ নামে দুইজন যুবদল নেতাকে হামলা করে মারাত্মক আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের বনানী থানা পুলিশ করাইল নামক স্থান থেকে বিএনপি নেতা শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৮

ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের গণসংযোগে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি রোডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগে বের হন আফরোজা আব্বাস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট অতিক্রম করে আফরোজা আব্বাস তিলপাপাড়ায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক সেখানে গিয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন। আফরোজা আব্বাস বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আফরোজার গণসংযোগে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর পেছন থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের দুজন নেতা ও বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা এই ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।
এ ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খিলগাঁও চৌরাস্তার পাশে ইসলামী পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের উল্টোপাশের সড়কে অবস্থান নেয়। তবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ই ডিসেম্বর প্রচারণায় নামলে আফরোজা আব্বাসের উপর হামলা হয়। এদিনও বেশ কয়জন নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে গতকাল ঢাকা-১৩ ( মোহাম্মদপুর আদাবর শেরে বাংলা নগর) আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্র্ন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস সালামের নির্বাচনী প্রচারে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
সালামের সমর্থক নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে নামলে আদাবর থানার পুলিশ এসে গণসংযোগে বাধা সৃষ্টি করে এবং গণসংযোগে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা-৪ আসন ডেমরা এলাকায় ধানের শীষের প্রচারের সময় তিন নারী নেত্রীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি জানান, এছাড়া জুরাইন এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের কর্মীরা অতর্কিতে হামলা করে। এতে ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয় এবং প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
রুহুল কবীর রিজভী আরো জানান, ঢাকা-৫ আসন যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদল সরদার নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাসায় আসার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডিবি অফিসে খোঁজ নেওয়া হলে তারা আটককের বিষয়টি অস্বীকার করে।
এছাড়া ঢাকা-৬ আসনের ৩৭নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ঐক্যফ্রন্ট নেতা নবকুমার রত্ন, ঢাকা-১১ আসনের বাড্ডা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান, ঢাকা-১৪ আসনে দুই বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, এছাড়া রামপুরায় একজন বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করে বিএনপি।
রিজভী জানান, ঢাকা-১২ আসনের তেজগাঁও থানা পুলিশ বিএনপি নেতা শিফুকে গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া পোস্টার লাগানোর সময় আবুল হোসেন ও সাঈদ নামে দুইজন যুবদল নেতাকে হামলা করে মারাত্মক আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের বনানী থানা পুলিশ করাইল নামক স্থান থেকে বিএনপি নেতা শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।