বিএনপি নেতাদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৪৭
মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
চলমান নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে তা পরিহারের আহবান জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আহবানের কথা জানান।
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হোক। নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে যেসব রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার। সেটা হল সকলের সহিংসতা পরিহার করা দরকার এবং একে নিন্দা জানানো উচিত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে নির্বাচনের পদ্ধতি কার্যকর হবে না যদি না সবাই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সমান ভাবে অংশ করতে না পারে। তিনি সকলকে উদ্বুদ্ধ করবেন গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র আহবান জানায়, সকলকে মুক্তভাবে পুরোদমে নেমে যাওয়ার জন্য, নির্বাচনী প্রচারণায় জন্য। এর মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।
বক্তব্যের শেষে সকলকে সহিংসতাকে পরিহার ও যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানানোর জন্য আহবান জানান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ও নির্বাচনে অংশ নেয়া ধানের শীষের প্রার্থীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তিনি নতুন এসেছেন। এ জন্য সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এসেছেন। বর্তমান নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা হয়েছে। আপনারা নিজেরা শুনেছেন তারা এখানে ভয়ভীতি ও ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দেখতে চান, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। এটাই হচ্ছে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, তারা মনে করে যে, ভোটাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া উচিৎ। কোনো প্রার্থীর ওপর যাতে কোনো আক্রমণ না হয়, ভায়োলেন্স যেন না হয়-একথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিৎ। বিরোধী দল যারা আছেন তাদের প্রচারণাও যাতে নিরাপদে করতে পারে তা নিশ্চিত করা উচিৎ।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত। তাকে কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। বেলা ২টায় বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বিএনপি মহাসচিব রাষ্ট্রদূতকে বিদায় জানান। রাষ্ট্রদূত নিজের পতাকাবাহী গাড়িতে উঠে একটি চকলেট মির্জা ফখরুল ও আরেকটি চকলেট তাবিথ আউয়ালের হাতে তুলে দেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৪৭

চলমান নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে তা পরিহারের আহবান জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আহবানের কথা জানান।
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হোক। নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে যেসব রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার। সেটা হল সকলের সহিংসতা পরিহার করা দরকার এবং একে নিন্দা জানানো উচিত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে নির্বাচনের পদ্ধতি কার্যকর হবে না যদি না সবাই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সমান ভাবে অংশ করতে না পারে। তিনি সকলকে উদ্বুদ্ধ করবেন গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র আহবান জানায়, সকলকে মুক্তভাবে পুরোদমে নেমে যাওয়ার জন্য, নির্বাচনী প্রচারণায় জন্য। এর মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।
বক্তব্যের শেষে সকলকে সহিংসতাকে পরিহার ও যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানানোর জন্য আহবান জানান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ও নির্বাচনে অংশ নেয়া ধানের শীষের প্রার্থীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তিনি নতুন এসেছেন। এ জন্য সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এসেছেন। বর্তমান নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা হয়েছে। আপনারা নিজেরা শুনেছেন তারা এখানে ভয়ভীতি ও ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দেখতে চান, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। এটাই হচ্ছে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, তারা মনে করে যে, ভোটাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া উচিৎ। কোনো প্রার্থীর ওপর যাতে কোনো আক্রমণ না হয়, ভায়োলেন্স যেন না হয়-একথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিৎ। বিরোধী দল যারা আছেন তাদের প্রচারণাও যাতে নিরাপদে করতে পারে তা নিশ্চিত করা উচিৎ।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত। তাকে কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। বেলা ২টায় বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বিএনপি মহাসচিব রাষ্ট্রদূতকে বিদায় জানান। রাষ্ট্রদূত নিজের পতাকাবাহী গাড়িতে উঠে একটি চকলেট মির্জা ফখরুল ও আরেকটি চকলেট তাবিথ আউয়ালের হাতে তুলে দেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।