মঠবাড়িয়ায় মহাজোট ও বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৫
বুধবার পিরোজপুর-৩ আসনের মঠবাড়িয়ায় বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর হয়। ছবি: দেশ রূপান্তর
পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে মহাজোট প্রার্থী রুস্তম আলী ফরাজী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বুধবার বিকেলে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রায় ২৫ নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে উপজেলার তুষখালী লঞ্চঘাট চৌরাস্তা মোড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের সমর্থকরা মহাজোট প্রার্থী ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে রাজু মোল্লা, রুবেল, ফিলিপ তালুকদার, শহিদুল, মহারাজ তালুকদার, লিটন, রিয়াজ ও মামুনকে আহত করে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর রাজু মোল্লা, ফিলিপ, মামুন ও রিয়াজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) প্রেরণ করে।
মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা আহত হওয়ার খবর পৌর শহর ও ১১ ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে পাল্টা হামলা চালিয়ে আশরাফুর রহমানের প্রায় ২০টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এতে ১০ সমর্থক আহত হয়।
আহত ফারুক, মোতালেব, বেল্লাল ও সৌরভকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মহাজোট প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ধানীসাফার স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী মঞ্চসহ শহরের বহেরাতলা, মিরুখালী, গুলিশাখালী, দাউদখালী, টিকিকাটা, বেতমোর রাজপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
রুস্তুম আলী ফরাজী জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের নির্বাচনের শুরু থেকে আমার লোকদের ওপর হামলা করে আসছে এবং আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
অশরাফুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী ভান্ডারীয়া উপজেলার তেলিখালীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষেরে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৫

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে মহাজোট প্রার্থী রুস্তম আলী ফরাজী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বুধবার বিকেলে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলা চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রায় ২৫ নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে উপজেলার তুষখালী লঞ্চঘাট চৌরাস্তা মোড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের সমর্থকরা মহাজোট প্রার্থী ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে রাজু মোল্লা, রুবেল, ফিলিপ তালুকদার, শহিদুল, মহারাজ তালুকদার, লিটন, রিয়াজ ও মামুনকে আহত করে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর রাজু মোল্লা, ফিলিপ, মামুন ও রিয়াজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) প্রেরণ করে।
মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা আহত হওয়ার খবর পৌর শহর ও ১১ ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে পাল্টা হামলা চালিয়ে আশরাফুর রহমানের প্রায় ২০টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এতে ১০ সমর্থক আহত হয়।
আহত ফারুক, মোতালেব, বেল্লাল ও সৌরভকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মহাজোট প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ধানীসাফার স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী মঞ্চসহ শহরের বহেরাতলা, মিরুখালী, গুলিশাখালী, দাউদখালী, টিকিকাটা, বেতমোর রাজপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
রুস্তুম আলী ফরাজী জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের নির্বাচনের শুরু থেকে আমার লোকদের ওপর হামলা করে আসছে এবং আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে।
অশরাফুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী ভান্ডারীয়া উপজেলার তেলিখালীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষেরে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।