সিইসি নৈরাজ্য ঢাকতে বকধার্মিক সাজছে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৩
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
দেশব্যাপী নির্বাচনী নৈরাজ্য ও সহিংসতা চলছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নৈরাজ্য ঢাকতে বকধার্মিক সাজছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশব্যাপী নির্বাচনী সহিংসতা চলছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঢাকতে এখন বকধার্মিক সেজেছেন। সিইসি বলেছেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। এর মাধ্যমে প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের অস্তিত্বেও আঘাত হেনেছেন।’
রিজভী বলেন, জনগণ নয়, পুলিশই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আস্থাকেন্দ্র। আর অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করাটাই আওয়ামী লীগের ট্রেডমার্ক। যুগ যুগ ধরে জনগণ সেটাই প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, কারাগারগুলোতে ঠাঁই নাই। সারাদেশে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট মামলার আসামী করা হয়েছে। এখন কারাগারে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা গন্তব্যে।
‘নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় আছে’, সিইসির এমন দাবি প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, এ ধরনের কথা বলে তিনি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বাধীন ইসিকে বিতর্কিত করে ফেলেছেন। শুধু বিরোধী দলই নয়, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, নির্বাচন বিশ্লেষকরা দৃশ্যমান সহিংসতা নিয়ে যখন সমালোচনামুখর, দাতা সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা যখন উদ্বিগ্ন, তখন তিনি হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে মূলত আওয়ামী চেহারাটাই জনগণের সামনে উন্মোচিত করেছেন। দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের ভেতর থেকেও যখন সত্য কথাটি বেরিয়ে আসছে, সেটিকেও তিনি সহ্য করতে পারছেন না।
রিজভী বলেন, হামলা-মামলা-নির্যাতনের পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা অটুট মনোবলে নির্বাচনী যুদ্ধে নিয়োজিত। সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মদদ ও ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের আহত করছে, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে পুলিশি তাণ্ডব ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করে নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। নির্বাচনী সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাদা পোশাকধারীরা ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদের তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করে রাখছে। ধানের শীষের নির্বাচনী ক্যাম্পগুলো ভাঙচুর করছে। এমনকি পোস্টার কিংবা প্রচারপত্র যে প্রেস থেকে ছাপানো হচ্ছে সেই প্রেসে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমতা চেয়েছেন। অথচ ঠিক সেইদিনই মুন্সীগঞ্জে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনজন। বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন। হামলার শিকার হয়েছেন শত শত নেতাকর্মী।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৩
দেশব্যাপী নির্বাচনী নৈরাজ্য ও সহিংসতা চলছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নৈরাজ্য ঢাকতে বকধার্মিক সাজছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশব্যাপী নির্বাচনী সহিংসতা চলছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঢাকতে এখন বকধার্মিক সেজেছেন। সিইসি বলেছেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। এর মাধ্যমে প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের অস্তিত্বেও আঘাত হেনেছেন।’
রিজভী বলেন, জনগণ নয়, পুলিশই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আস্থাকেন্দ্র। আর অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করাটাই আওয়ামী লীগের ট্রেডমার্ক। যুগ যুগ ধরে জনগণ সেটাই প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, কারাগারগুলোতে ঠাঁই নাই। সারাদেশে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট মামলার আসামী করা হয়েছে। এখন কারাগারে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা গন্তব্যে।
‘নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় আছে’, সিইসির এমন দাবি প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, এ ধরনের কথা বলে তিনি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বাধীন ইসিকে বিতর্কিত করে ফেলেছেন। শুধু বিরোধী দলই নয়, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, নির্বাচন বিশ্লেষকরা দৃশ্যমান সহিংসতা নিয়ে যখন সমালোচনামুখর, দাতা সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা যখন উদ্বিগ্ন, তখন তিনি হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে মূলত আওয়ামী চেহারাটাই জনগণের সামনে উন্মোচিত করেছেন। দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের ভেতর থেকেও যখন সত্য কথাটি বেরিয়ে আসছে, সেটিকেও তিনি সহ্য করতে পারছেন না।
রিজভী বলেন, হামলা-মামলা-নির্যাতনের পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা অটুট মনোবলে নির্বাচনী যুদ্ধে নিয়োজিত। সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মদদ ও ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের আহত করছে, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে পুলিশি তাণ্ডব ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করে নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। নির্বাচনী সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাদা পোশাকধারীরা ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদের তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করে রাখছে। ধানের শীষের নির্বাচনী ক্যাম্পগুলো ভাঙচুর করছে। এমনকি পোস্টার কিংবা প্রচারপত্র যে প্রেস থেকে ছাপানো হচ্ছে সেই প্রেসে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমতা চেয়েছেন। অথচ ঠিক সেইদিনই মুন্সীগঞ্জে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনজন। বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন। হামলার শিকার হয়েছেন শত শত নেতাকর্মী।