সম্প্রীতির অনন্য নজির আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর
ফরিদুল আলম সুমন | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:০৩
দুই প্রার্থীর বাড়ির দূরত্ব পঞ্চাশ গজ। ছবি: দেশ রূপান্তর
তাদের দু’জনের বাড়ি পঞ্চাশ গজের মধ্যে। নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত লোকজনের সমবেত হওয়ার জন্য আলাদা প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়েছে দুই নেতার বাড়ি ঘেঁষে। দিনরাত শত শত নেতাকর্মী আসছেন-যাচ্ছেন। তবুও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরোধ নেই। একবারের জন্যও ঘটেনি অপ্রীতিকর ঘটনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের একমাত্র এবং একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসনের দুই প্রধান প্রার্থী আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং বিএনপি সাচিংপ্রু জেরী। নিকট প্রতিবেশী এই দুই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রমে এমন সম্প্রীতিতে স্বস্তি এলাকাবাসীর। নিশ্চিন্ত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
প্রচার শুরুর পর থেকে দেখা গেছে, দলে দলে নেতাকর্মীরা দুই প্রার্থীর বাড়ির সামনে তৈরি করা প্যান্ডেলে সমবেত হচ্ছেন। নেতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে যার যার দায়িত্ব পালনে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে মিছিল বের হচ্ছে দুই বাড়ি থেকে। মিছিল শেষও হচ্ছে সেখানে এসে। চলছে চা-নাস্তার আয়োজন। অথচ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাড়ির সামনে সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া পুলিশ পাহারা রয়েছে আগে থেকেই। এর বাইরে কোনো অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে দেখা যায়নি।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম মুন্না জানান, এখানকার মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপ্রিয়। নেতাদের পক্ষ থেকে কখনো কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও আশঙ্কা নেই।
বান্দরবান জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রশিদ বলেন, দুই প্রার্থীর পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি কেউ যাতে কারো কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি না করে। আশা করি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই দুই প্রার্থীর বাড়ি একদম লাগোয়া। অতীতে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনা ঘটেনি। এবারও কোনো দলের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো আশঙ্কার কথা আমাদের জানানো হয়নি।
বান্দরবানের এ আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাচিংপ্রু জেরী। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, গত পাঁচ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর উশৈসিং।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ফরিদুল আলম সুমন | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:০৩

তাদের দু’জনের বাড়ি পঞ্চাশ গজের মধ্যে। নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত লোকজনের সমবেত হওয়ার জন্য আলাদা প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়েছে দুই নেতার বাড়ি ঘেঁষে। দিনরাত শত শত নেতাকর্মী আসছেন-যাচ্ছেন। তবুও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরোধ নেই। একবারের জন্যও ঘটেনি অপ্রীতিকর ঘটনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের একমাত্র এবং একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসনের দুই প্রধান প্রার্থী আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং বিএনপি সাচিংপ্রু জেরী। নিকট প্রতিবেশী এই দুই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রমে এমন সম্প্রীতিতে স্বস্তি এলাকাবাসীর। নিশ্চিন্ত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
প্রচার শুরুর পর থেকে দেখা গেছে, দলে দলে নেতাকর্মীরা দুই প্রার্থীর বাড়ির সামনে তৈরি করা প্যান্ডেলে সমবেত হচ্ছেন। নেতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে যার যার দায়িত্ব পালনে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে মিছিল বের হচ্ছে দুই বাড়ি থেকে। মিছিল শেষও হচ্ছে সেখানে এসে। চলছে চা-নাস্তার আয়োজন। অথচ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাড়ির সামনে সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া পুলিশ পাহারা রয়েছে আগে থেকেই। এর বাইরে কোনো অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে দেখা যায়নি।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম মুন্না জানান, এখানকার মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপ্রিয়। নেতাদের পক্ষ থেকে কখনো কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও আশঙ্কা নেই।
বান্দরবান জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রশিদ বলেন, দুই প্রার্থীর পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি কেউ যাতে কারো কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি না করে। আশা করি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই দুই প্রার্থীর বাড়ি একদম লাগোয়া। অতীতে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনা ঘটেনি। এবারও কোনো দলের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো আশঙ্কার কথা আমাদের জানানো হয়নি।
বান্দরবানের এ আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাচিংপ্রু জেরী। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, গত পাঁচ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর উশৈসিং।