‘দেশ ধ্বংসকারীদের দিয়ে রাষ্ট্র মেরামত হবে না’
ঢাবি প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৫৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও নির্বাচন ২০১৮’ শীর্ষক তারুণ্যের সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। কিন্তু কাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে? যারা ৭৫ এর পর থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে, তারা হবে মেরামতকারী। এটা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য।’
বৃহস্পতিবার ঢাবিতে অনুষ্ঠিত সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি বা দলকে নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জয়ী করতে হবে। তা হলেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১’ এই সংলাপের আয়োজন করে।
ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব ও কয়েক শতাধিক তরুণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকের বাংলাদেশ কিছু মানুষের অবদান। তাদের কথা চিন্তা করেই আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন, তার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। কিন্তু কাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে? যারা ৭৫ এর পর থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে, তারা হবে মেরামতকারী। এটা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এটা বুঝেই আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে হবে। সত্য মিথ্যার মাঝখানে কোন জায়গা নেই। তাই আগামী নির্বাচনে ব্যক্তি বা দল নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোককে ভোট দিতে হবে।
কে এম শফিউল্লাহ তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বিজয়ী শক্তিকে জয়ী করতে হবে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কিন্তু অস্ত্রের জোরে নয় বরং জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়েছিল। তাই এবারেও ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানাই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ঢাবি প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৫৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও নির্বাচন ২০১৮’ শীর্ষক তারুণ্যের সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। কিন্তু কাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে? যারা ৭৫ এর পর থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে, তারা হবে মেরামতকারী। এটা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য।’
বৃহস্পতিবার ঢাবিতে অনুষ্ঠিত সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি বা দলকে নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জয়ী করতে হবে। তা হলেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১’ এই সংলাপের আয়োজন করে।
ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব ও কয়েক শতাধিক তরুণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকের বাংলাদেশ কিছু মানুষের অবদান। তাদের কথা চিন্তা করেই আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন, তার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলেছে। কিন্তু কাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে? যারা ৭৫ এর পর থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে, তারা হবে মেরামতকারী। এটা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এটা বুঝেই আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে হবে। সত্য মিথ্যার মাঝখানে কোন জায়গা নেই। তাই আগামী নির্বাচনে ব্যক্তি বা দল নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোককে ভোট দিতে হবে।
কে এম শফিউল্লাহ তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বিজয়ী শক্তিকে জয়ী করতে হবে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কিন্তু অস্ত্রের জোরে নয় বরং জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়েছিল। তাই এবারেও ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানাই।