২২ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় কর্মসূচি ঐক্যফ্রন্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:০১
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পরিবেশ সৃষ্টিতে ঢাকায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ২২ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে জনসমাবেশ ও গণমিছিলসহ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয় প্রিতম-জামান টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফ্রন্টের শীর্ষনেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যের ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের আচরণ নজিরবিহীন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি।
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দাবি করবেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন- দয়া করে মিথ্যাচারের এই খেলা বন্ধ করুন। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। যে কায়দা করা হচ্ছে তা স্বৈরাচারী শাসনকে হার মানিয়েছে। এ দেশের মানুষ অনেক জীবনের বিনিময়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন অতীতে। কিন্তু ৪৭ বছর পরেও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, এটা লজ্জাজনক।
ড. কামাল বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, পুলিশ কোনো দলীয় বাহিনী হবে না। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করব, আপনারা পুলিশ ভাইয়েরা যা করছেন, ১৬ আনা নিরপেক্ষতা পরিপন্থী। তা অবিলম্বে বন্ধ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সিটির ৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত প্রতিটি আসনে নির্বাচনী সভা ও গণমিছিল করবে ফ্রন্ট।
এ ছাড়া ২৭ ডিসেম্বর বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এই মুহূর্তে ধানের শীষের ১৬ প্রার্থী কারাগারে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৩ নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থিতা শূন্য হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনী হামলা, সহিংসতা ও নৈরাজ্য ততই তীব্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে পুলিশি নির্যাতন, হামলা ও গ্রেপ্তার।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, যেসব আসনে প্রার্থিতা বাতিল করা, সেসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া ইন্টারনেটের গতি কমানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:০১

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পরিবেশ সৃষ্টিতে ঢাকায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ২২ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে জনসমাবেশ ও গণমিছিলসহ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয় প্রিতম-জামান টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফ্রন্টের শীর্ষনেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যের ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের আচরণ নজিরবিহীন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি।
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দাবি করবেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন- দয়া করে মিথ্যাচারের এই খেলা বন্ধ করুন। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। যে কায়দা করা হচ্ছে তা স্বৈরাচারী শাসনকে হার মানিয়েছে। এ দেশের মানুষ অনেক জীবনের বিনিময়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন অতীতে। কিন্তু ৪৭ বছর পরেও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, এটা লজ্জাজনক।
ড. কামাল বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, পুলিশ কোনো দলীয় বাহিনী হবে না। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করব, আপনারা পুলিশ ভাইয়েরা যা করছেন, ১৬ আনা নিরপেক্ষতা পরিপন্থী। তা অবিলম্বে বন্ধ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সিটির ৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত প্রতিটি আসনে নির্বাচনী সভা ও গণমিছিল করবে ফ্রন্ট।
এ ছাড়া ২৭ ডিসেম্বর বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এই মুহূর্তে ধানের শীষের ১৬ প্রার্থী কারাগারে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৩ নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থিতা শূন্য হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনী হামলা, সহিংসতা ও নৈরাজ্য ততই তীব্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে পুলিশি নির্যাতন, হামলা ও গ্রেপ্তার।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, যেসব আসনে প্রার্থিতা বাতিল করা, সেসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া ইন্টারনেটের গতি কমানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।