ভোটের আগের রাত থেকে কেন্দ্র পাহারা দিন: ফখরুল
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:১৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল। ছবি: দেশ রূপান্তর
ভোটের অধিকার রক্ষায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ তারিখ মানুষের রায় দেওয়ার সময়। মানুষই ঠিক করবেন, তারা আলোর দিকে থাকবেন নাকি অন্ধকারে থাকবেন; মুক্তির পথে থাকবেন নাকি পরাধীনতার পথে থাকবেন।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিন। ভয় পাবেন না, ভয়ের কিছু নেই। আপনি ন্যায়ের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন। মানুষ একবারই মরে, দুইবার মরে না। বীরের মৃত্যু নেই।’
বিএনপির ১৬ প্রার্থীকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার করা হবে না, কিন্তু কী হচ্ছে? তাহলে কি তাকে সত্যবাদী বলা যায়? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে তারা সরকারি খরচে হেলিকপ্টারে প্রচারণা করছে। আর আমরা অনুমতি নিয়েও সমাবেশের একটি মঞ্চ বানাতে পারি না। আমাদের পোস্টার লাগাতে দেয় না, প্রচারণা করতে দেয় না। তবুও ৩০ তারিখ আমরা মুক্তির জন্য এই নির্বাচন করবো।’
ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ লুটের বাজার হয়েছে। ব্যাংক, শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। মানুষ হত্যা হয়েছে, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। প্রার্থীদের মারছেন, মানুষকে মারছেন রাতের আঁধারে কিছু লোক নিয়ে মিছিল করে আমাদের হামলা করে মনে করবেন না মানুষ ভয় পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, হামলা-মামলা করে ভোট থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। ৩০ তারিখ আমরা বিদ্রোহ করব, সবাই মিলে ভোট দিতে যাব। ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে ভোট দেওয়া শেষ করে দেবেন। যদি পুলিশ ও আওয়ামী পাণ্ডারা বলে, ভোট শেষ চলে যান। বলবেন, ভোট তো দিয়েছি এখন ফলাফল পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দিব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা এখন কেন ক্ষমা চায়? কারণ তিনিও জানেন তিনি জাতির কাছে ভুল করেছেন। এবার ধানের শীষের জয় কেউ আটকাতে পারবে না।
ধানের শীষের নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান, ২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, ৪ আসনের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী ও ৫ আসনের প্রার্থী এস এম আকরাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও জেলা সেচ্ছ্বাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:১৪

ভোটের অধিকার রক্ষায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ তারিখ মানুষের রায় দেওয়ার সময়। মানুষই ঠিক করবেন, তারা আলোর দিকে থাকবেন নাকি অন্ধকারে থাকবেন; মুক্তির পথে থাকবেন নাকি পরাধীনতার পথে থাকবেন।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিন। ভয় পাবেন না, ভয়ের কিছু নেই। আপনি ন্যায়ের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন। মানুষ একবারই মরে, দুইবার মরে না। বীরের মৃত্যু নেই।’
বিএনপির ১৬ প্রার্থীকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার করা হবে না, কিন্তু কী হচ্ছে? তাহলে কি তাকে সত্যবাদী বলা যায়? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে তারা সরকারি খরচে হেলিকপ্টারে প্রচারণা করছে। আর আমরা অনুমতি নিয়েও সমাবেশের একটি মঞ্চ বানাতে পারি না। আমাদের পোস্টার লাগাতে দেয় না, প্রচারণা করতে দেয় না। তবুও ৩০ তারিখ আমরা মুক্তির জন্য এই নির্বাচন করবো।’
ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ লুটের বাজার হয়েছে। ব্যাংক, শেয়ারবাজার লুট হয়েছে। মানুষ হত্যা হয়েছে, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। প্রার্থীদের মারছেন, মানুষকে মারছেন রাতের আঁধারে কিছু লোক নিয়ে মিছিল করে আমাদের হামলা করে মনে করবেন না মানুষ ভয় পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, হামলা-মামলা করে ভোট থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। ৩০ তারিখ আমরা বিদ্রোহ করব, সবাই মিলে ভোট দিতে যাব। ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে ভোট দেওয়া শেষ করে দেবেন। যদি পুলিশ ও আওয়ামী পাণ্ডারা বলে, ভোট শেষ চলে যান। বলবেন, ভোট তো দিয়েছি এখন ফলাফল পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দিব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা এখন কেন ক্ষমা চায়? কারণ তিনিও জানেন তিনি জাতির কাছে ভুল করেছেন। এবার ধানের শীষের জয় কেউ আটকাতে পারবে না।
ধানের শীষের নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান, ২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, ৪ আসনের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী ও ৫ আসনের প্রার্থী এস এম আকরাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও জেলা সেচ্ছ্বাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম এসময় উপস্থিত ছিলেন।