রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
পটুয়াখালি প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২২
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গলাচিপা মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি মাসুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গলাচিপা থানার ওসি আখতার মোর্শেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফোনালাপের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাও করতে উদ্বুদ্ধ করা, ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা এবং প্রধানমন্ত্রী ও নৌকা প্রতীকের বিকৃত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগে করা মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্ত্রীসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ঘটনা সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মোবাইল কথোপকথন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন রনির ভাই সরোয়ার, শ্যালক মকবুল এবং বিএনপি নেতা শাহজাহান খান, ছেলে শিপলু খান ও শাহ আলম শানু। মামলার সঙ্গে সময় টেলিভিশন ও ৭১ টিভিতে সম্প্রচারিত সংবাদের অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়েছে।
তবে মামলাটিকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আলোচিত রনি। তিনি বলেন, ‘এখানে আমার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ আইন লঙ্ঘন করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছে।’
রনির অভিযোগ, ১৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে গলাচিপা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় রনির পক্ষের প্রচারণার বহরে হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা; তারা প্রচারকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায়। এতে তার স্ত্রী লুনা আক্তার স্ত্রী ও গলাচিপা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব মিয়াসহ ছয়জন আহত হন। ঘটনায় গলাচিপা থানার অভিযোগ নেয়নি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পটুয়াখালি প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২২

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গলাচিপা মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি মাসুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গলাচিপা থানার ওসি আখতার মোর্শেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফোনালাপের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাও করতে উদ্বুদ্ধ করা, ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা এবং প্রধানমন্ত্রী ও নৌকা প্রতীকের বিকৃত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগে করা মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্ত্রীসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ঘটনা সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মোবাইল কথোপকথন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন রনির ভাই সরোয়ার, শ্যালক মকবুল এবং বিএনপি নেতা শাহজাহান খান, ছেলে শিপলু খান ও শাহ আলম শানু। মামলার সঙ্গে সময় টেলিভিশন ও ৭১ টিভিতে সম্প্রচারিত সংবাদের অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়েছে।
তবে মামলাটিকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আলোচিত রনি। তিনি বলেন, ‘এখানে আমার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ আইন লঙ্ঘন করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছে।’
রনির অভিযোগ, ১৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে গলাচিপা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় রনির পক্ষের প্রচারণার বহরে হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা; তারা প্রচারকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায়। এতে তার স্ত্রী লুনা আক্তার স্ত্রী ও গলাচিপা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব মিয়াসহ ছয়জন আহত হন। ঘটনায় গলাচিপা থানার অভিযোগ নেয়নি।