গ্রেপ্তারের শঙ্কায় তরিকুলপুত্র
যশোর প্রতিনিধি | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:১১
যশোর প্রেসক্লাবে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ছবি: দেশ রূপান্তর।
যশোর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ও দলটির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। দলীয় নেতাকর্মীদেরও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে বলে তার আশঙ্কা। শনিবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে অভিযোগ করে অমিত জানান, প্রচার গাড়ির চালককে মারধর করা হচ্ছে। গত শুক্রবার ধানের শীষের একটি প্রচার গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতেও সাহস পাননি। এর আগে আরেক গাড়ির চালককে মারা হয়েছে, মাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি ওই গাড়ি উদ্ধার করে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি; এমনকি ইলেকটোরাল কমিটিকেও জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কর্মীরা নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছে না, তারা ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ’
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রার্থীকে মিথ্যা কোনো অভিযোগ সাজিয়ে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছি।’ তিনি জানান, গতকাল সকালে যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় অমিতের গণসংযোগকালে পুলিশের তিনটি গাড়ি উপস্থিত হয়। তারা গণসংযোগ দলের চারপাশে অবস্থান নিলে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে পুলিশের দলটি ধীরে ধীরে স্থান ছাড়ে।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘গত দুই দিনে আমাদের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে আমরা বাড়িছাড়া। বাড়িতে না পেয়ে এখন নির্বাচনী কার্যালয়, চায়ের দোকান অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। ’
নির্বাচনী প্রচার ঝুঁকিপূর্ণ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর নির্বাচনী প্রচারণা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হয় হামলা, না হয় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘কারও গণসংযোগে কেন বাধা দেবে পুলিশ? শহরের পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
যশোর প্রতিনিধি | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:১১

যশোর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ও দলটির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। দলীয় নেতাকর্মীদেরও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে বলে তার আশঙ্কা। শনিবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে অভিযোগ করে অমিত জানান, প্রচার গাড়ির চালককে মারধর করা হচ্ছে। গত শুক্রবার ধানের শীষের একটি প্রচার গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতেও সাহস পাননি। এর আগে আরেক গাড়ির চালককে মারা হয়েছে, মাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি ওই গাড়ি উদ্ধার করে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি; এমনকি ইলেকটোরাল কমিটিকেও জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কর্মীরা নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছে না, তারা ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ’
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রার্থীকে মিথ্যা কোনো অভিযোগ সাজিয়ে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছি।’ তিনি জানান, গতকাল সকালে যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় অমিতের গণসংযোগকালে পুলিশের তিনটি গাড়ি উপস্থিত হয়। তারা গণসংযোগ দলের চারপাশে অবস্থান নিলে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে পুলিশের দলটি ধীরে ধীরে স্থান ছাড়ে।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘গত দুই দিনে আমাদের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে আমরা বাড়িছাড়া। বাড়িতে না পেয়ে এখন নির্বাচনী কার্যালয়, চায়ের দোকান অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। ’
নির্বাচনী প্রচার ঝুঁকিপূর্ণ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর নির্বাচনী প্রচারণা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হয় হামলা, না হয় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘কারও গণসংযোগে কেন বাধা দেবে পুলিশ? শহরের পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ’