পাবনার চাটমোহরে বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর আহত ৩
পাবনা প্রতিনিধি | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪৪
বিএনপি কর্মী হতাহতের খবর পেয়ে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান পাবনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।
পাবনার চাটমোহরে শুক্রবার রাতে বিএনপির দু’টি অফিস ভাংচুর ও মারপিটে ৩ জন আহত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান হালিম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মথুরাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর শাহজাহানের মোড় ও মথুরাপুর বাজার এলাকায় স্থাপিত বিএনপির দু’টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এসব ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হালিম অভিযোগ করেন, গুনাইগাছা ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে মিছিল থেকে পৈলানপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল কুদ্দুস, সোলাইমান হোসেন ও নাজিমুদ্দিন এর উপরে হামলা করে তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কুদ্দুসকে আশংকাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিএনপি কর্মী হতাহতের খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান পাবনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
কে এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমরা সহনশীল পরিবেশ বজায় রেখে প্রচারণার কাজ করছি। কিন্তু সরকারীদলের নেতাকর্মীরা একের পর এক নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও প্রচারে বাধা দিচ্ছে। আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে নির্বাচন থেকে সরে আসতে। এরকম চলতে থাকলে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হবে না।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে সরকার সমর্থিতরা। তার কয়েকদিন আগে পৌর সদরের জিরো পয়েন্টে বিএনপির প্রচার মাইক ও যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে নৌকার সমর্থকরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পাবনা প্রতিনিধি | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪৪

পাবনার চাটমোহরে শুক্রবার রাতে বিএনপির দু’টি অফিস ভাংচুর ও মারপিটে ৩ জন আহত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান হালিম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মথুরাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর শাহজাহানের মোড় ও মথুরাপুর বাজার এলাকায় স্থাপিত বিএনপির দু’টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এসব ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হালিম অভিযোগ করেন, গুনাইগাছা ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে মিছিল থেকে পৈলানপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল কুদ্দুস, সোলাইমান হোসেন ও নাজিমুদ্দিন এর উপরে হামলা করে তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কুদ্দুসকে আশংকাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিএনপি কর্মী হতাহতের খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান পাবনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
কে এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমরা সহনশীল পরিবেশ বজায় রেখে প্রচারণার কাজ করছি। কিন্তু সরকারীদলের নেতাকর্মীরা একের পর এক নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও প্রচারে বাধা দিচ্ছে। আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে নির্বাচন থেকে সরে আসতে। এরকম চলতে থাকলে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হবে না।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে সরকার সমর্থিতরা। তার কয়েকদিন আগে পৌর সদরের জিরো পয়েন্টে বিএনপির প্রচার মাইক ও যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে নৌকার সমর্থকরা।