লন্ডনে বসে নাটাই ঘুরায় এক আসামি: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৩২
সিলেটে শনিবার নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, লন্ডনে বসে নাটাই ঘুরায় এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যদি দিন দেয়, ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ধরে এনে রায় কার্যকর করব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে দেব না’।
শনিবার সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন এই সিলেটে ইনাম আহমেদ চৌধুরী, তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আমি তাকে স্বাগত জানাই। তিনি নিজে বলেছেন, একেকজনের কাছে টাকা চায়, দিতে পারলে আছে, দিতে না পারলে নমিনেশন নেই। এই হলো তাদের মনোনয়ন, তারা অকশন দিয়েছে। আপনারা বলুন এরা কী রাজনীতি করে?’
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে তারা (বিএনপি) কী করেছে? একেক সিটে তারা ৪/৫ জন করে নমিনেশন দিয়েছে। একেকটা সিট অকশনে দিয়েছে। যে যত বেশি টাকা দিবে, সে নমিনেশন পাবে। এই অকশনে দিতে গিয়ে তাদের ‘ছ্যারা-ভ্যারা’ অবস্থা।
নৌকা মানে উন্নয়ন আর ধানের শীষ মানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট, জঙ্গীবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে দেশ ধ্বংস করবে। তাই নির্বাচনে আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ নৌকা মানে উন্নয়ন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, তারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের নমিনেশন দিয়েছে। যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমরা শাস্তি দিয়েছি। এরা সব অর্জন নস্যাৎ করবে, কারণ এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।
জনসভা মঞ্চ থেকে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ১৯ আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে নৌকায় ভোট চান শেখ হাসিনা। এ সময় হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রণ্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, যে বিএনপি কিবরিয়া সাহেবকে হত্যা করেছে, সেই কিবরিয়া সাহেবের ছেলে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে ইলেকশন করছে। এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এই নৌকা হচ্ছে মানুষের দিন বদলের বন্ধু। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে স্বাধীনতা, পেয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে যে সম্মান অর্জন করেছে, সে সম্মান নিয়ে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে গেলে এখন সম্মান পায়, সে সম্মান রক্ষা করতে হবে আপনাদের। একটাই কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবেন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উচ্চ আসন পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই উচ্চ আসন ধরে রাখতে হবে। ওই বিএনপি-জামায়াত জোট বাঙালি জাতির মানসম্মান ভুলণ্ঠিত করেছিল। হত্যা, খুন, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি এটা ছিল তাদের কাজ।
সারা দেশে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সিলেটের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসার কোনো সরকারি স্বীকৃতি ছিল না। আমরা দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা দিয়েছি। আজ আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা যেই সম্মান পেয়েছিলাম বাংলাদেশ স্বাধীন করার পর, সেই সম্মান নষ্ট করা হয় পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে।
বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বর্ণনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি) অপকর্মের কারণে ২০০৭ সালে ইমার্জেন্সি ঘোষণা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আজ বাংলাদেশ মানে উন্নয়ন। এই মযাদা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল দিন রাত পরিশ্রম করে এই মর্যাদা আমরা আপনাদের জন্য বয়ে এনেছি। এই দেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে।
এ সময় ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে এসেছি, বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট- ৬ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
এর আগে শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র্র করে সিলেট মহানগরী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সভামঞ্চে আশপাশে এসে মিছিলগুলো সমবেত হয়। বেলা ১২টার পর থেকে সভাস্থলে প্রবেশের অনুমতি পায় মিছিলগুলো।
সকাল থেকে সিলেট মহানগরীর অলিগলিতে সরকারের উন্নয়ন চিত্র নিয়ে গান, মাইকিং ও বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে রিক্সা-মাইক নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
দুপুর পর্যন্ত মহানগরীর আশপাশের এলাকা থেকে বাদ্য বাজিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জনসভার স্থান ছোট হওয়ায় আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনেন দলটির নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেখা গেছে নগরজুড়ে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স ছাড়াও পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করে।
এর আগে সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে হযরত শাহ জালাল (রহ:), হযরত শাহ পরাণ (রহ:) ও হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ:) মাজার জিয়ারত করেন তিনি। পরে সার্কিট হাউসে জোহরের নামাজ, মধ্যাহ্ন ভোজ ও বিশ্রাম শেষে বেলা তিনটার দিকে নৌকার আদলে তৈরী মঞ্চে পৌছান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৩২

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, লন্ডনে বসে নাটাই ঘুরায় এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যদি দিন দেয়, ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ধরে এনে রায় কার্যকর করব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে দেব না’।
শনিবার সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন এই সিলেটে ইনাম আহমেদ চৌধুরী, তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আমি তাকে স্বাগত জানাই। তিনি নিজে বলেছেন, একেকজনের কাছে টাকা চায়, দিতে পারলে আছে, দিতে না পারলে নমিনেশন নেই। এই হলো তাদের মনোনয়ন, তারা অকশন দিয়েছে। আপনারা বলুন এরা কী রাজনীতি করে?’
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে তারা (বিএনপি) কী করেছে? একেক সিটে তারা ৪/৫ জন করে নমিনেশন দিয়েছে। একেকটা সিট অকশনে দিয়েছে। যে যত বেশি টাকা দিবে, সে নমিনেশন পাবে। এই অকশনে দিতে গিয়ে তাদের ‘ছ্যারা-ভ্যারা’ অবস্থা।
নৌকা মানে উন্নয়ন আর ধানের শীষ মানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট, জঙ্গীবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে দেশ ধ্বংস করবে। তাই নির্বাচনে আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ নৌকা মানে উন্নয়ন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, তারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের নমিনেশন দিয়েছে। যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমরা শাস্তি দিয়েছি। এরা সব অর্জন নস্যাৎ করবে, কারণ এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।
জনসভা মঞ্চ থেকে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ১৯ আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে নৌকায় ভোট চান শেখ হাসিনা। এ সময় হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রণ্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, যে বিএনপি কিবরিয়া সাহেবকে হত্যা করেছে, সেই কিবরিয়া সাহেবের ছেলে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে ইলেকশন করছে। এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এই নৌকা হচ্ছে মানুষের দিন বদলের বন্ধু। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে স্বাধীনতা, পেয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে যে সম্মান অর্জন করেছে, সে সম্মান নিয়ে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে গেলে এখন সম্মান পায়, সে সম্মান রক্ষা করতে হবে আপনাদের। একটাই কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবেন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উচ্চ আসন পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই উচ্চ আসন ধরে রাখতে হবে। ওই বিএনপি-জামায়াত জোট বাঙালি জাতির মানসম্মান ভুলণ্ঠিত করেছিল। হত্যা, খুন, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি এটা ছিল তাদের কাজ।
সারা দেশে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সিলেটের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসার কোনো সরকারি স্বীকৃতি ছিল না। আমরা দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা দিয়েছি। আজ আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা যেই সম্মান পেয়েছিলাম বাংলাদেশ স্বাধীন করার পর, সেই সম্মান নষ্ট করা হয় পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে।
বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বর্ণনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি) অপকর্মের কারণে ২০০৭ সালে ইমার্জেন্সি ঘোষণা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আজ বাংলাদেশ মানে উন্নয়ন। এই মযাদা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল দিন রাত পরিশ্রম করে এই মর্যাদা আমরা আপনাদের জন্য বয়ে এনেছি। এই দেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে।
এ সময় ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে এসেছি, বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট- ৬ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
এর আগে শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র্র করে সিলেট মহানগরী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সভামঞ্চে আশপাশে এসে মিছিলগুলো সমবেত হয়। বেলা ১২টার পর থেকে সভাস্থলে প্রবেশের অনুমতি পায় মিছিলগুলো।
সকাল থেকে সিলেট মহানগরীর অলিগলিতে সরকারের উন্নয়ন চিত্র নিয়ে গান, মাইকিং ও বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে রিক্সা-মাইক নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
দুপুর পর্যন্ত মহানগরীর আশপাশের এলাকা থেকে বাদ্য বাজিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জনসভার স্থান ছোট হওয়ায় আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনেন দলটির নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেখা গেছে নগরজুড়ে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স ছাড়াও পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করে।
এর আগে সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে হযরত শাহ জালাল (রহ:), হযরত শাহ পরাণ (রহ:) ও হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ:) মাজার জিয়ারত করেন তিনি। পরে সার্কিট হাউসে জোহরের নামাজ, মধ্যাহ্ন ভোজ ও বিশ্রাম শেষে বেলা তিনটার দিকে নৌকার আদলে তৈরী মঞ্চে পৌছান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।