নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামে ধানের শীষের প্রার্থীর জিডি
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৮
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান। শনিবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানায় এ জিডি করা হয়।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমার নির্বাচনী অফিসে তিনবার হামলা হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার রাতে বোমা হামলা হয়েছে। এ হামলা ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। দুই শতাধিক সন্ত্রাসী মুখ বেঁধে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে একটি পিকআপ, একটি কার, ১০টি মোটরসাইকেল ও দুটি সিএনজি অটোরিকশা, অফিসের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুরের পর বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সচিব ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়। উপর থেকে তাৎক্ষণিক সাড়া পেলেও আমরা দেখেছি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের আসকারা দিচ্ছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাই আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি।’
গত ১০ দিনে তার নির্বাচনী এলাকা থেকে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী আরো বলেন, ‘আগে ছিল গায়েবি মামলা, এখন তার সঙ্গে কিছু অনুষঙ্গ সৃষ্টি করে হচ্ছে জাল টাকা ও অস্ত্র আইনের মামলা।’
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৮

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান। শনিবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানায় এ জিডি করা হয়।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমার নির্বাচনী অফিসে তিনবার হামলা হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার রাতে বোমা হামলা হয়েছে। এ হামলা ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। দুই শতাধিক সন্ত্রাসী মুখ বেঁধে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে একটি পিকআপ, একটি কার, ১০টি মোটরসাইকেল ও দুটি সিএনজি অটোরিকশা, অফিসের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুরের পর বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সচিব ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়। উপর থেকে তাৎক্ষণিক সাড়া পেলেও আমরা দেখেছি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের আসকারা দিচ্ছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাই আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি।’
গত ১০ দিনে তার নির্বাচনী এলাকা থেকে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী আরো বলেন, ‘আগে ছিল গায়েবি মামলা, এখন তার সঙ্গে কিছু অনুষঙ্গ সৃষ্টি করে হচ্ছে জাল টাকা ও অস্ত্র আইনের মামলা।’
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।