সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনী একমাত্র ভরসা: ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:২৩
সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ছবি: ফোকাস বাংলা
সারাদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে হামলা, প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ চলছে অভিযোগ তুলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন এখন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী একমাত্র ভরসা।
সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না।
লিখিত বক্তব্য ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আর মাত্র ২/৩ বছর পর আমরা ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করতে যাচ্ছি। সে দিন আমরা যাতে বলতে পারি এমন একটি সরকার পেয়েছি, যারা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, সবাইর ভোট দিতে যাওয়া উচিত। জনগণ আজ পরিবর্তনের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ।
সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে কামাল হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি অতীতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আশা করি এ নির্বাচনেও তারা অতীতের মতো জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ইনশা আল্লাহ শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকব।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা কাউকে ঘরে ঘুমাতেও দেওয়া হচ্ছে না। একদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হচ্ছে না অন্যদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আইন থাকলেও হাইকোর্ট থেকে তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একমাত্র ভরসা যে স্বাধীনতার সময় অনন্য ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:২৩

সারাদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে হামলা, প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ চলছে অভিযোগ তুলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন এখন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী একমাত্র ভরসা।
সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না।
লিখিত বক্তব্য ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আর মাত্র ২/৩ বছর পর আমরা ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করতে যাচ্ছি। সে দিন আমরা যাতে বলতে পারি এমন একটি সরকার পেয়েছি, যারা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, সবাইর ভোট দিতে যাওয়া উচিত। জনগণ আজ পরিবর্তনের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ।
সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে কামাল হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি অতীতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আশা করি এ নির্বাচনেও তারা অতীতের মতো জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ইনশা আল্লাহ শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকব।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা কাউকে ঘরে ঘুমাতেও দেওয়া হচ্ছে না। একদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হচ্ছে না অন্যদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আইন থাকলেও হাইকোর্ট থেকে তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একমাত্র ভরসা যে স্বাধীনতার সময় অনন্য ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।