সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে বিএনপির মঈন খানের ওপর হামলা
নরসিংদী প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৪
মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন আহত হন। ছবি: দেশ রূপান্তর
নরসিংদীর পলাশে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান।
হামলায় মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন আহত হয়েছেন। সোমবার ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর কিছুক্ষণ আগে একই উপজেলার পারুলিয়া দরগা মসজিদ এলাকায় মঈন খানের গণসংযোগে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
এতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
আহত বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন সাংবাদিকদের জানান, ড. আবদুল মঈন খান ও আমি নির্বাচনী প্রচারে পুলিশি বাধা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়ে অভিযোগ করতে রিকশা দিয়ে উপজেলা পরিষদে যাই।
তিনি বলেন, পরিষদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অতর্কিতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে স্যারকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আমি গুরুতর জখম হই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের এক দোকানদার জানিয়েছেন, আমরা ভেতরে গন্ডগোল দেখতে পেয়েছি। ওই সময় চিৎকার শুনতে পেয়েছি। তবে আমরা ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করিনি।
ঘটনার পর ড. আবদুল মঈন খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে নিরাপদে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবার যখন আমরা প্রচার চালানোর চেষ্টা করি, তখন আওয়ামী লীগ আমাদের প্রতিরোধ করে।
জানতে চাইলে পলাশের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সভায় ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনার পর তার (মিল্টন) নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। আমার ধারণা নাকে ঘুষি লেগে থাকতে পারে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দুজন দুর্বৃত্ত ড. মঈন খানের ওপর হামলা চালিয়েছে। ওই সময় কিলঘুষিতে ওনার পিএস মিল্টন আহত হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একই উপজেলার পারুলিয়া দরগা মসজিদ এলাকায় মঈন খানের গণসংযোগে পুলিশ বাধা দেয় বলে দলটি অভিযোগ করে।
তারা জানায়, ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
তবে পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারে পুলিশি বাধার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এই ব্যাপারে জানতে নরসিংদী-০২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও উপজেলা সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কবির মৃধারও।
এর আগে নির্বাচনী এলাকা নরসিংদীর পাঁচদোনা ও আমদিয়ায় ড. মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নরসিংদী প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৪

নরসিংদীর পলাশে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান।
হামলায় মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন আহত হয়েছেন। সোমবার ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর কিছুক্ষণ আগে একই উপজেলার পারুলিয়া দরগা মসজিদ এলাকায় মঈন খানের গণসংযোগে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
এতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
আহত বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন সাংবাদিকদের জানান, ড. আবদুল মঈন খান ও আমি নির্বাচনী প্রচারে পুলিশি বাধা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়ে অভিযোগ করতে রিকশা দিয়ে উপজেলা পরিষদে যাই।
তিনি বলেন, পরিষদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অতর্কিতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে স্যারকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আমি গুরুতর জখম হই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের এক দোকানদার জানিয়েছেন, আমরা ভেতরে গন্ডগোল দেখতে পেয়েছি। ওই সময় চিৎকার শুনতে পেয়েছি। তবে আমরা ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করিনি।
ঘটনার পর ড. আবদুল মঈন খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে নিরাপদে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবার যখন আমরা প্রচার চালানোর চেষ্টা করি, তখন আওয়ামী লীগ আমাদের প্রতিরোধ করে।
জানতে চাইলে পলাশের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সভায় ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনার পর তার (মিল্টন) নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। আমার ধারণা নাকে ঘুষি লেগে থাকতে পারে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দুজন দুর্বৃত্ত ড. মঈন খানের ওপর হামলা চালিয়েছে। ওই সময় কিলঘুষিতে ওনার পিএস মিল্টন আহত হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একই উপজেলার পারুলিয়া দরগা মসজিদ এলাকায় মঈন খানের গণসংযোগে পুলিশ বাধা দেয় বলে দলটি অভিযোগ করে।
তারা জানায়, ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
তবে পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারে পুলিশি বাধার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এই ব্যাপারে জানতে নরসিংদী-০২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও উপজেলা সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কবির মৃধারও।
এর আগে নির্বাচনী এলাকা নরসিংদীর পাঁচদোনা ও আমদিয়ায় ড. মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী।