সোনারগাঁয়ে যুবলীগ কার্যালয়ে গুলি, সাংবাদিকসহ আহত ১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:০১
কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর ও গুলির ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। ছবি: দেশ রূপান্তর
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও গুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থকদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও যুবলীগ কার্যালয়ে চেয়ার, টেবিল, গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সাংবাদিক সহ ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহাজোটের প্রার্থীর সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ভাই বাবু ওমরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাবু ওমর তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ৫টি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
হামলায় যুবলীগ নেতা এনামুল, আশরাফুল, রবি, জনি, মাহবুব, আরিফুল, খোকন, মাসুমসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আলীম সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে গেলে, সেখানে হামলাকারী জনির নেতৃত্বে ৫-৭ জনের একটি দল তাকে পিটিয়ে আহত করে। আহত সাংবাদিক স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করছে।
অন্যদিকে, হামলার ঘটনা অস্বীকার করে কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর দেশ রূপান্তরকে বলেন, মহাজোট কর্মীরা কারও কার্যালয়ে হামলা করেনি। তারা মিছিল করছিল। আমরাও মিছিল করছিলাম। মিছিল মুখোমুখি হওয়ায় সামান্য সংঘর্ষ হয়েছে। কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ মিথ্যা।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:০১

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও গুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থকদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও যুবলীগ কার্যালয়ে চেয়ার, টেবিল, গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সাংবাদিক সহ ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহাজোটের প্রার্থীর সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ভাই বাবু ওমরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাবু ওমর তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ৫টি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
হামলায় যুবলীগ নেতা এনামুল, আশরাফুল, রবি, জনি, মাহবুব, আরিফুল, খোকন, মাসুমসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আলীম সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে গেলে, সেখানে হামলাকারী জনির নেতৃত্বে ৫-৭ জনের একটি দল তাকে পিটিয়ে আহত করে। আহত সাংবাদিক স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করছে।
অন্যদিকে, হামলার ঘটনা অস্বীকার করে কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর দেশ রূপান্তরকে বলেন, মহাজোট কর্মীরা কারও কার্যালয়ে হামলা করেনি। তারা মিছিল করছিল। আমরাও মিছিল করছিলাম। মিছিল মুখোমুখি হওয়ায় সামান্য সংঘর্ষ হয়েছে। কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ মিথ্যা।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।