রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে 'প্রতিরোধ'
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৪৯
রেজা কিবরিয়ার বাড়ির সামনে এলাকাবাসীর অবস্থান। ছবি: দেশ রূপান্তর
পলাতক আসামি খোঁজার নামে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়ার বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। পরে স্থানীয় জনতা সেখানে প্রতিরোধ করে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুলিশ রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলার বাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ জালালসাপ গ্রামে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। বাড়ির অবস্থানরত লোকজন তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে তারা গ্রেপ্তার করতে এসেছে।
এরপর কে বা কারা স্থানীয় মসজিদে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে পুলিশ আসার খবর মাইকে প্রচার করলে স্থানীয় জনতা লাঠি নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে হাজির হয়। এরপর পুলিশ সেখান থেকে সরে যায়।
ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, এ সময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়। পুলিশ বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ করতে থাকে।
রেজা কিবরিয়া বলেন , আমি ঘটনার সময় গণসংযোগে ছিলাম। বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ তা দেখাতে পারেনি।
তিনি বলেন, পুলিশ ভোটার ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তল্লাশির নামে বাড়িঘর তছনছ করেছে। এটা হয়রানি। এতে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করে। আসামি না পেয়ে পুলিশ চলে আসে।
এদিকে ঘটনার পর পর সন্ধ্যায় উপজেলার ছোট ভাকৈর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহরে থাকা ৪০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফুকে প্রধান আসামি করা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৪৯

পলাতক আসামি খোঁজার নামে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়ার বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। পরে স্থানীয় জনতা সেখানে প্রতিরোধ করে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুলিশ রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলার বাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ জালালসাপ গ্রামে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। বাড়ির অবস্থানরত লোকজন তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে তারা গ্রেপ্তার করতে এসেছে।
এরপর কে বা কারা স্থানীয় মসজিদে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে পুলিশ আসার খবর মাইকে প্রচার করলে স্থানীয় জনতা লাঠি নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে হাজির হয়। এরপর পুলিশ সেখান থেকে সরে যায়।
ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, এ সময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়। পুলিশ বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ করতে থাকে।
রেজা কিবরিয়া বলেন , আমি ঘটনার সময় গণসংযোগে ছিলাম। বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ তা দেখাতে পারেনি।
তিনি বলেন, পুলিশ ভোটার ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তল্লাশির নামে বাড়িঘর তছনছ করেছে। এটা হয়রানি। এতে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করে। আসামি না পেয়ে পুলিশ চলে আসে।
এদিকে ঘটনার পর পর সন্ধ্যায় উপজেলার ছোট ভাকৈর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহরে থাকা ৪০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফুকে প্রধান আসামি করা হয়।