রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহর থেকে ৩২ জন আটক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:২০
রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার আমাদের অফিসিয়ালি জানিয়ে দিক- তারা ভোটের প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত নয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন চায়। ছবি: দেশ রূপান্তর
হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহর থেকে ৩২ জন কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলা জালালসাফ গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাকে কোনো প্রচারণা করতে দেবে না এটাই তাদের উদ্দেশ্য। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, কাজিরবাজার থেকে গণসংযোগ করে রাতে ফেরার পথে ব্রিজের কাছে পুলিশ তার গাড়িবহর থামায়। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়িসহ দুটি গাড়ি ছেড়ে দিলেও বাকি চারটি মাইক্রোবাস এবং আটটি মোটরসাইকেল আরোহী ৩২ জনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, অন্ধকারে তারা গাড়ি থামিয়ে এ অভিযান চালায়। পোশাক পরা বেশ কয়েকজন পুলিশ এবং সাদা পোশাকে আরও কয়েকজন ছিল। আটককৃতদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী বলেন, ‘যতই বাধা দেওয়া হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে, ততই আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যদি ৫০ শতাংশ সুষ্ঠু হয় তাহলেও আমি জয়ী হব। আওয়ামী লীগ নগ্ন কারচুপি, টেবিল কাস্ট করেও জয়ী হতে পারবে না।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার আমাদের অফিসিয়ালি জানিয়ে দিক- তারা ভোটের প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত নয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন চায়। তারা বলুক- বিরোধী দল সরে যাও, আমরা পোষা বিরোধী দলে অভ্যস্ত।’
‘দেশের মানুষের সামনে তারা (আওয়ামী লীগ) সেটি বলে দিলে ভালো হয়। তাহলে আমরা তা বিবেচনা করে দেখব। আওয়ামী লীগের অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে ২০১৪ সালের (৫ জানুয়ারির) নির্বাচনের পর’ যোগ করেন রেজা কিবরিয়া।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবি মামলা দিয়েছে। মামলার কোনো হিসাব নেই। আমার প্রচারণা অত্যন্ত সফল হচ্ছে দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
নির্বাচনে এজেন্ট দেওয়ার বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমরা এজেন্টদের তালিকা তৈরি করছি। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তাদের নাম এখনো প্রকাশ করছি না।’
তিনি বলেন, ‘বাবাকে না পেয়ে আমার সমর্থকের ১৬ বছরের এক ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার জামিন করিয়েছি। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও একটি সড়ক অবরোধের মামলা দিয়েছে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:২০

হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার গাড়িবহর থেকে ৩২ জন কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলা জালালসাফ গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাকে কোনো প্রচারণা করতে দেবে না এটাই তাদের উদ্দেশ্য। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, কাজিরবাজার থেকে গণসংযোগ করে রাতে ফেরার পথে ব্রিজের কাছে পুলিশ তার গাড়িবহর থামায়। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়িসহ দুটি গাড়ি ছেড়ে দিলেও বাকি চারটি মাইক্রোবাস এবং আটটি মোটরসাইকেল আরোহী ৩২ জনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, অন্ধকারে তারা গাড়ি থামিয়ে এ অভিযান চালায়। পোশাক পরা বেশ কয়েকজন পুলিশ এবং সাদা পোশাকে আরও কয়েকজন ছিল। আটককৃতদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী বলেন, ‘যতই বাধা দেওয়া হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে, ততই আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যদি ৫০ শতাংশ সুষ্ঠু হয় তাহলেও আমি জয়ী হব। আওয়ামী লীগ নগ্ন কারচুপি, টেবিল কাস্ট করেও জয়ী হতে পারবে না।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার আমাদের অফিসিয়ালি জানিয়ে দিক- তারা ভোটের প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত নয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন চায়। তারা বলুক- বিরোধী দল সরে যাও, আমরা পোষা বিরোধী দলে অভ্যস্ত।’
‘দেশের মানুষের সামনে তারা (আওয়ামী লীগ) সেটি বলে দিলে ভালো হয়। তাহলে আমরা তা বিবেচনা করে দেখব। আওয়ামী লীগের অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে ২০১৪ সালের (৫ জানুয়ারির) নির্বাচনের পর’ যোগ করেন রেজা কিবরিয়া।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবি মামলা দিয়েছে। মামলার কোনো হিসাব নেই। আমার প্রচারণা অত্যন্ত সফল হচ্ছে দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
নির্বাচনে এজেন্ট দেওয়ার বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমরা এজেন্টদের তালিকা তৈরি করছি। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তাদের নাম এখনো প্রকাশ করছি না।’
তিনি বলেন, ‘বাবাকে না পেয়ে আমার সমর্থকের ১৬ বছরের এক ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার জামিন করিয়েছি। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও একটি সড়ক অবরোধের মামলা দিয়েছে।’