কী ভাবছেন মাশরাফীর ভোটাররা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৩৭
ভোটারদের মাঝে মাশরাফী। ফাইল ফটো
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নড়াইল-২ আসনের প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। ভোটারদের ভাবনার বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তুজা।
তরুণ ভোটার আব্দুল্লাহ আল মামুন পড়াশোনা করেন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে। তিনি ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছেন। আলাপকালে জানালেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য তরুণরা নড়াইলে এসেছেন তাদের জীবনের সর্বোচ্চ মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। প্রথম ভোটার হয়ে মামুন তার পছন্দের এবং যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, অধিনায়ক মাশরাফী সম্মানজনক ভোটে নির্বাচিত হয়ে নড়াইলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রায় দেড়শত বছরের পুরনো নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর, একটি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপনসহ শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
নড়াইল চৌরাস্তার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নানা প্রত্যাশার কথা জানান। তিনি বলেন, আমি এবার স্বপ্ন দেখছি, মাশরাফীর হাল ধরে নড়াইল জেলা উন্নয়নের শ্রোতধারায় যুক্ত হবে। মাশরাফী নির্বাচিত হলে হয়তো মন্ত্রিত্ব পাবেন। সেক্ষেত্রে নড়াইলের উন্নয়নের ধারা এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও নড়াইলে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠেনি। নদীমাতৃক নড়াইলের মধুমতী নদীর পাড় ঘিরে একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করলে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। মাওয়া ও কালনা সেতু চালু হলে নড়াইল হতে রাজধানী ঢাকার দুরস্ত হবে ১২০ কিলোমিটার। সবমিলিয়ে অবহেলিত নড়াইল জেলার উন্নয়নের মূল ধারাতে যুক্ত হবে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রমজান আলী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে নড়াইল জেলার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক যোগাযোগসহ নানা ক্ষেত্রে নড়াইল জেলা বৈষম্যেও শিকার। তবে এবার ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফী বিন মর্তুজা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় নড়াইলবাসীর মাঝে আশার আলো এসেছে। মাশরাফী যদি নির্বাচিত হয় তাহলে হয়তো এবার মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন। নড়াইল জেলায় এপর্যন্ত কোন মন্ত্রী হয়নি। এবার হয়তো সব আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। মাশরাফীর হাত ধরেই নড়াইল জেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে বলে আমরা নড়াইলবাসী মনেপ্রানে বিশ্বাস করি।
নারী নেত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বলেন, আমরা নারী সমাজ অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছি তা মনে করি না। আগের তুলনায় নারীরা এগিয়ে চলেছে। তবে এবারের নির্বাচনে আমাদের হিরের টুকরা মাশরাফি যদি নির্বাচিত হয় তাহলে বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্তা করবে এবং কর্মজীবি নারীদের জন্য হোস্টেলসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিবে। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ভোটাররা তাদের যোগ্য নেতাকে নির্বাচিত করবে এবং আমাদের নারী সমাজের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসবেন এই প্রত্যাশা রইল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৩৭
.jpg)
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নড়াইল-২ আসনের প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। ভোটারদের ভাবনার বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তুজা।
তরুণ ভোটার আব্দুল্লাহ আল মামুন পড়াশোনা করেন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে। তিনি ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছেন। আলাপকালে জানালেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য তরুণরা নড়াইলে এসেছেন তাদের জীবনের সর্বোচ্চ মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। প্রথম ভোটার হয়ে মামুন তার পছন্দের এবং যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, অধিনায়ক মাশরাফী সম্মানজনক ভোটে নির্বাচিত হয়ে নড়াইলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রায় দেড়শত বছরের পুরনো নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর, একটি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপনসহ শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
নড়াইল চৌরাস্তার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নানা প্রত্যাশার কথা জানান। তিনি বলেন, আমি এবার স্বপ্ন দেখছি, মাশরাফীর হাল ধরে নড়াইল জেলা উন্নয়নের শ্রোতধারায় যুক্ত হবে। মাশরাফী নির্বাচিত হলে হয়তো মন্ত্রিত্ব পাবেন। সেক্ষেত্রে নড়াইলের উন্নয়নের ধারা এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও নড়াইলে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠেনি। নদীমাতৃক নড়াইলের মধুমতী নদীর পাড় ঘিরে একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করলে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। মাওয়া ও কালনা সেতু চালু হলে নড়াইল হতে রাজধানী ঢাকার দুরস্ত হবে ১২০ কিলোমিটার। সবমিলিয়ে অবহেলিত নড়াইল জেলার উন্নয়নের মূল ধারাতে যুক্ত হবে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রমজান আলী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে নড়াইল জেলার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক যোগাযোগসহ নানা ক্ষেত্রে নড়াইল জেলা বৈষম্যেও শিকার। তবে এবার ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফী বিন মর্তুজা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় নড়াইলবাসীর মাঝে আশার আলো এসেছে। মাশরাফী যদি নির্বাচিত হয় তাহলে হয়তো এবার মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন। নড়াইল জেলায় এপর্যন্ত কোন মন্ত্রী হয়নি। এবার হয়তো সব আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। মাশরাফীর হাত ধরেই নড়াইল জেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে বলে আমরা নড়াইলবাসী মনেপ্রানে বিশ্বাস করি।
নারী নেত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বলেন, আমরা নারী সমাজ অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছি তা মনে করি না। আগের তুলনায় নারীরা এগিয়ে চলেছে। তবে এবারের নির্বাচনে আমাদের হিরের টুকরা মাশরাফি যদি নির্বাচিত হয় তাহলে বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্তা করবে এবং কর্মজীবি নারীদের জন্য হোস্টেলসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিবে। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ভোটাররা তাদের যোগ্য নেতাকে নির্বাচিত করবে এবং আমাদের নারী সমাজের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসবেন এই প্রত্যাশা রইল।