ভোটের মাঠ ‘আনন্দমুখর রাখতে’ প্রস্তুত ডিএমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপদ ভোট গ্রহণের পরিবেশ তৈরিতে রাজধানীজুড়ে সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ভোটের মাঠ সংঘাতমুক্ত ও আনন্দমুখর রাখতে সকল বৈধ অস্ত্র থানায় জমা নেয়া হয়েছে। প্রার্থী ও এজেন্টদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখতে চারটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার(ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে রাজধানী জুড়ে পুলিশের চারটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। মিরপুর, আব্দুল গনি রোড, গুলশান ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এসব অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থাকবে। এর মাধ্যমে রাজধানীর ২ হাজার ১১৩ ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর প্রতিটি কেন্দ্র পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ৪-৫টি কেন্দ্র মিলিয়ে একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম ডিউটিতে থাকবে।
এ ছাড়া যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সুস্পষ্ট হুমকি না থাকলেও অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খল বাহিনীর সব সংস্থা মিলে ভোটের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে, যেন সংঘাত না হয়। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট শেষে বাড়ি ফিরবেন, তাদের নিরাপত্তায় যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তার সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদি কোনো ভোটার তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ভোগেন তবে ৯৯৯ এ কল দেবে অথবা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবিহিত করে সহায়তা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা ও আইইডি বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। অগ্রিম তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাজনিত হুমকি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ তৎপর রয়েছে। ভার্চুয়াল জগতে হুমকি, গুজব প্রতিরোধে তারা সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনের প্রতিটি প্রার্থী ও এজেন্টদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সকৃত সকল অস্ত্র আমরা বিভিন্ন থানায় জমা নিয়েছি। প্রার্থী ব্যতীত কেউ বৈধ অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন করতে পারবেন না। যেসব স্থানে পেশিশক্তি প্রয়োগ হতে পারে বা বাধা আসতে পারে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তেমনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাধাহীন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে সব প্রস্তুতি চলমান আছে।
নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ১৪ টি পয়েন্ট থেকে ব্যালট পেপার বিতরণ ও জমা নেওয়া হবে। সেসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। গোলযোগ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণসহ সব বাহিনীর সমন্বয়ে সুষ্ঠুভাবে অর্থবহ ভোট অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধ পরিকর।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপদ ভোট গ্রহণের পরিবেশ তৈরিতে রাজধানীজুড়ে সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ভোটের মাঠ সংঘাতমুক্ত ও আনন্দমুখর রাখতে সকল বৈধ অস্ত্র থানায় জমা নেয়া হয়েছে। প্রার্থী ও এজেন্টদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখতে চারটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার(ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে রাজধানী জুড়ে পুলিশের চারটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। মিরপুর, আব্দুল গনি রোড, গুলশান ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এসব অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থাকবে। এর মাধ্যমে রাজধানীর ২ হাজার ১১৩ ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর প্রতিটি কেন্দ্র পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ৪-৫টি কেন্দ্র মিলিয়ে একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম ডিউটিতে থাকবে।
এ ছাড়া যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সুস্পষ্ট হুমকি না থাকলেও অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খল বাহিনীর সব সংস্থা মিলে ভোটের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে, যেন সংঘাত না হয়। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট শেষে বাড়ি ফিরবেন, তাদের নিরাপত্তায় যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তার সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদি কোনো ভোটার তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ভোগেন তবে ৯৯৯ এ কল দেবে অথবা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবিহিত করে সহায়তা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা ও আইইডি বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। অগ্রিম তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাজনিত হুমকি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ তৎপর রয়েছে। ভার্চুয়াল জগতে হুমকি, গুজব প্রতিরোধে তারা সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনের প্রতিটি প্রার্থী ও এজেন্টদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সকৃত সকল অস্ত্র আমরা বিভিন্ন থানায় জমা নিয়েছি। প্রার্থী ব্যতীত কেউ বৈধ অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন করতে পারবেন না। যেসব স্থানে পেশিশক্তি প্রয়োগ হতে পারে বা বাধা আসতে পারে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তেমনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাধাহীন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে সব প্রস্তুতি চলমান আছে।
নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ১৪ টি পয়েন্ট থেকে ব্যালট পেপার বিতরণ ও জমা নেওয়া হবে। সেসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। গোলযোগ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণসহ সব বাহিনীর সমন্বয়ে সুষ্ঠুভাবে অর্থবহ ভোট অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধ পরিকর।