‘চাপে পড়ে’ সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কায়সার
সোনারগাঁও প্রতিনিধি | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:০৮
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে সিংহ প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নিজের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন মাধ্যমের চাপে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান কায়সার।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার মোগরাপাড়া তার বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলির শব্দে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এসময় চারজনকে আটক করে পুলিশ। কায়সার হাসনাতসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা নিরাপদে সরে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশি অভিযানের পর তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে সিংহ প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, দিনব্যাপী এমন গুঞ্জন বিরাজ করছিল সোনারগাঁ এলাকায়। এ ধরনের গুঞ্জন শুনে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে অনুগামী নেতাকর্মীরা কায়সারের মোগড়াপাড়াস্থ বাড়িতে এসে জমায়েত হতে থাকেন।
পরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কায়সার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এদিকে সন্ধ্যায় কায়সার তার ওই বাড়িতে অনুগামী নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের কৌশল বিষয়ে মত বিনিময় করছিলেন।সন্ধ্যা ৭ টার পর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বাড়ি ঘেরাও করলে কায়সারসহ তার নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সরে যায়। পরে কায়সার পন্থিরা একত্রিত হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে এবং পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলেন। পুলিশ এসময় অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে গুলিবর্ষণের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
রাত সাড়ে ৮টায় কায়সার সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ভোটে থাকছেন না। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি প্রশাসনকে শর্ত দিয়েছেন তার যেসকল নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে তাদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং নেতাকর্মীদের সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সারের বাড়িতে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে বৈঠক চলছে এমন অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চালানো হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সোনারগাঁও প্রতিনিধি | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:০৮

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে সিংহ প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নিজের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন মাধ্যমের চাপে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান কায়সার।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার মোগরাপাড়া তার বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলির শব্দে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এসময় চারজনকে আটক করে পুলিশ। কায়সার হাসনাতসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা নিরাপদে সরে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশি অভিযানের পর তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে সিংহ প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, দিনব্যাপী এমন গুঞ্জন বিরাজ করছিল সোনারগাঁ এলাকায়। এ ধরনের গুঞ্জন শুনে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে অনুগামী নেতাকর্মীরা কায়সারের মোগড়াপাড়াস্থ বাড়িতে এসে জমায়েত হতে থাকেন।
পরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কায়সার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এদিকে সন্ধ্যায় কায়সার তার ওই বাড়িতে অনুগামী নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের কৌশল বিষয়ে মত বিনিময় করছিলেন।সন্ধ্যা ৭ টার পর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বাড়ি ঘেরাও করলে কায়সারসহ তার নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সরে যায়। পরে কায়সার পন্থিরা একত্রিত হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে এবং পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলেন। পুলিশ এসময় অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে গুলিবর্ষণের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
রাত সাড়ে ৮টায় কায়সার সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ভোটে থাকছেন না। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি প্রশাসনকে শর্ত দিয়েছেন তার যেসকল নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে তাদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং নেতাকর্মীদের সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সারের বাড়িতে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে বৈঠক চলছে এমন অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চালানো হয়।