খুলনার তিনটি আসনে ৩ প্রার্থীর ভোট বর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৪৭
খুলনার তিনটি আসনে ধানের শীষ প্রার্থীসহ তিন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তারা হলেন- খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইতগাছা) আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
সুনীল শুভ বলেন, ‘এরকম কলঙ্কিত ভোট আমি কোনো দিন দেখিনি। সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কাউকে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখা হয়েছে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন, তাদেরকে ব্যালট পেপার টেবিলের উপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভোটগ্রহণের এক ঘণ্টার মধ্যে আমার আসনের সব ভোট কেন্দ্রের ভোট কক্ষের দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণের পর থেকে শত শত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বেশ কিছু নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সেনাবাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়গুলো জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি অভিযোগ করে তিনি বলেন, যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
সকাল ১০টায় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা পরওয়ার বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশও ভোটারদের মুখ চিনে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন করা অসম্ভব।
আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের লোকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তাই ভোট বর্জন করলাম।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৪৭

খুলনার তিনটি আসনে ধানের শীষ প্রার্থীসহ তিন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তারা হলেন- খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইতগাছা) আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
সুনীল শুভ বলেন, ‘এরকম কলঙ্কিত ভোট আমি কোনো দিন দেখিনি। সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কাউকে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখা হয়েছে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন, তাদেরকে ব্যালট পেপার টেবিলের উপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভোটগ্রহণের এক ঘণ্টার মধ্যে আমার আসনের সব ভোট কেন্দ্রের ভোট কক্ষের দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণের পর থেকে শত শত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বেশ কিছু নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সেনাবাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়গুলো জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি অভিযোগ করে তিনি বলেন, যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
সকাল ১০টায় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা পরওয়ার বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশও ভোটারদের মুখ চিনে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন করা অসম্ভব।
আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের লোকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তাই ভোট বর্জন করলাম।’