খুলনায় ধানের শীষের ৫, লাঙ্গলের ১ প্রার্থীর ভোট বর্জন
সুমন্ত চক্রবর্ত্তী, খুলনা | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৩৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনায় ধানের শীষের পাঁচ ও লাঙ্গলের এক প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। রোববার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে একে একে এই্ ৬ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
প্রার্থীরা হলেন- খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনের বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন ধানের শীষ প্রার্থীরা। একই অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুনীল শুভ রায় ভোট বর্জন করেন।
রকিবুল ইসলাম বকুল অভিযোগ করেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা তাকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি এ প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছেন।
আমীর এজাজ খান বলেন, জাল ভোটের এ নির্বাচন আমি বর্জন করেছি।
একই দাবি করেন আজিজুর বারী হেলাল। তিনি বলেন, এই প্রহসনের ভোটে আমরা থাকতে চাই না।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভোট গ্রহণের ১ ঘণ্টার মধ্যে ৫ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রের ভোট কক্ষের দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর থেকে শত শত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। অনেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সেনাবাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাড. লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের লোকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি তাই ভোট বর্জন করলাম।
শুভ রায় বলেন, সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদেরকে ব্যালট পেপার টেবিলের উপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
তবে দুপুর ২টার দিকে দেশ রূপান্তরের সাথে কথা হয় মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সহ-দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চলের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘খুলনা-২ আসনের কোনো কেন্দ্রেই বিএনপির ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমাদের এজেন্টের বের করে দেয়া হয়েছে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সুমন্ত চক্রবর্ত্তী, খুলনা | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৩৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনায় ধানের শীষের পাঁচ ও লাঙ্গলের এক প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। রোববার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে একে একে এই্ ৬ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
প্রার্থীরা হলেন- খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনের বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন ধানের শীষ প্রার্থীরা। একই অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুনীল শুভ রায় ভোট বর্জন করেন।
রকিবুল ইসলাম বকুল অভিযোগ করেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা তাকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি এ প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছেন।
আমীর এজাজ খান বলেন, জাল ভোটের এ নির্বাচন আমি বর্জন করেছি।
একই দাবি করেন আজিজুর বারী হেলাল। তিনি বলেন, এই প্রহসনের ভোটে আমরা থাকতে চাই না।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভোট গ্রহণের ১ ঘণ্টার মধ্যে ৫ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রের ভোট কক্ষের দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর থেকে শত শত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। অনেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সেনাবাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাড. লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের লোকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি তাই ভোট বর্জন করলাম।
শুভ রায় বলেন, সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদেরকে ব্যালট পেপার টেবিলের উপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
তবে দুপুর ২টার দিকে দেশ রূপান্তরের সাথে কথা হয় মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সহ-দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চলের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘খুলনা-২ আসনের কোনো কেন্দ্রেই বিএনপির ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমাদের এজেন্টের বের করে দেয়া হয়েছে।’