একজন কমিশনার ছাড়া ইসি জ্ঞানপাপীর ভূমিকায়: ইসলামি আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৩৭
রোববার নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ছবি: দেশ রূপান্তর
সারা দেশে নির্বাচনের নামে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা, কারচুপি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, পুলিশ দিয়ে ভোটার ও প্রার্থীর হামলার ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জ্ঞানপাপীর ভূমিকা পালন করেছেন, তবে একজন কমিশনার ছাড়া। এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ২৯৮ আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সব আসনে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় হাত পাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া ও ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নৌকা, লাঙ্গল ও সাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ আসনে ভোটারদের ভোট দানে বাধা, পোলিং এজেন্টদের গুম ও পুলিশকর্তৃক অযথা হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ২৪ আসনে সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। এ নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। এ অনিয়মের নির্বাচনে জাতি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। এ ঘটনায় দেশে গণবিস্ফোরণ ঘটবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন মেনে নেয়া বা প্রত্যাখানের প্রশ্নই আসে না। কারণ দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে ২৪ আসনের অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে অভিযোগ দায়ের করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৩৭

সারা দেশে নির্বাচনের নামে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা, কারচুপি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, পুলিশ দিয়ে ভোটার ও প্রার্থীর হামলার ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জ্ঞানপাপীর ভূমিকা পালন করেছেন, তবে একজন কমিশনার ছাড়া। এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ২৯৮ আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সব আসনে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় হাত পাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া ও ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নৌকা, লাঙ্গল ও সাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ আসনে ভোটারদের ভোট দানে বাধা, পোলিং এজেন্টদের গুম ও পুলিশকর্তৃক অযথা হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ২৪ আসনে সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। এ নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। এ অনিয়মের নির্বাচনে জাতি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। এ ঘটনায় দেশে গণবিস্ফোরণ ঘটবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন মেনে নেয়া বা প্রত্যাখানের প্রশ্নই আসে না। কারণ দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে ২৪ আসনের অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে অভিযোগ দায়ের করেন।