পটুয়াখালীতে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট শেষ, চলছে গণনা
জাহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:১৬
কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও উৎসমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত পটুয়াখালীর ৪টি সংসদীয় আসনের ৮ উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়নে ৪৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ চার আসনে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৬ শত ৪৮জন। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ভোটাররা তাদের সাংবিধানিক আধিকার ভোটদানের জন্য ভোট কেন্দ্রে আসেন। তবে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল নারী ভোটারদের অনেক বেশি উপস্থিতি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছে গণনা।
বেলা দুটা পর্যন্ত প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেক প্রিসাইডিং অফিসার। সন্ধ্যা ৬ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণনাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
কাংকুনিপাড়া ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ব্যাংক কর্মকর্তা আবু বকর শিবলী জানান, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তার কেন্দ্রে ১৭৯৪ জন ভোটারের ৬২০ জন ভোট প্রদান করেছে।
মাইটভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাসুম বিল্লাহ জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় ২৯২৫ ভোটারের মধ্যে ১৬২৫ জন ভোটার ভোট প্রদান করছেন। তবে এই কেন্দ্রের কোনো বুথেই বিএনপির এজেন্ট পাওয়া যায়নি। পোলিং অফিসাররা জানান, তারা ছিল। কিন্তু তাদেরকে কেউ কিছু না বলে চলে গেছে।
চরচাপলি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মধুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। অন্তত দুই শতাধিক ভোটার লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তেগাছিয়া কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টরা এসে দুই ঘণ্টা পরে চলে গেছেন বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার। বেলা সাড়ে বারোটার সময় পটুয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কাংকুনিপাড়া ভোট কেন্দ্রে কথা হয় রাখাইন নারী ভোটার খেমা (২২) জানালেন, তিনি নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। ধুলাসর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভোটার নোমান বলেন, ‘এ বারই তিনি প্রথম দিয়েছেন। কোন ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পারায় তার খুব খুশি লাগছে।’
মহাজোট প্রার্থী নৌকা প্রতীকের অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, তিনি ফলাফল যাই হবে তাই মেনে নিবেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন তার একটি নির্বাচনী কেন্দ্র বিএনপির সন্ত্রাসীরা আগেই ভাংচুর করেছে। তারা নির্বাচনী প্রচার চালালেও নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে এখন নাটকীয় কায়দায় কল্প কাহিনী সাজাচ্ছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
জাহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:১৬

কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও উৎসমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত পটুয়াখালীর ৪টি সংসদীয় আসনের ৮ উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়নে ৪৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ চার আসনে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৬ শত ৪৮জন। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ভোটাররা তাদের সাংবিধানিক আধিকার ভোটদানের জন্য ভোট কেন্দ্রে আসেন। তবে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল নারী ভোটারদের অনেক বেশি উপস্থিতি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছে গণনা।
বেলা দুটা পর্যন্ত প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেক প্রিসাইডিং অফিসার। সন্ধ্যা ৬ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণনাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
কাংকুনিপাড়া ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ব্যাংক কর্মকর্তা আবু বকর শিবলী জানান, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তার কেন্দ্রে ১৭৯৪ জন ভোটারের ৬২০ জন ভোট প্রদান করেছে।
মাইটভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাসুম বিল্লাহ জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় ২৯২৫ ভোটারের মধ্যে ১৬২৫ জন ভোটার ভোট প্রদান করছেন। তবে এই কেন্দ্রের কোনো বুথেই বিএনপির এজেন্ট পাওয়া যায়নি। পোলিং অফিসাররা জানান, তারা ছিল। কিন্তু তাদেরকে কেউ কিছু না বলে চলে গেছে।
চরচাপলি ইসলামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মধুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। অন্তত দুই শতাধিক ভোটার লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তেগাছিয়া কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টরা এসে দুই ঘণ্টা পরে চলে গেছেন বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার। বেলা সাড়ে বারোটার সময় পটুয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কাংকুনিপাড়া ভোট কেন্দ্রে কথা হয় রাখাইন নারী ভোটার খেমা (২২) জানালেন, তিনি নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। ধুলাসর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভোটার নোমান বলেন, ‘এ বারই তিনি প্রথম দিয়েছেন। কোন ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পারায় তার খুব খুশি লাগছে।’
মহাজোট প্রার্থী নৌকা প্রতীকের অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, তিনি ফলাফল যাই হবে তাই মেনে নিবেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন তার একটি নির্বাচনী কেন্দ্র বিএনপির সন্ত্রাসীরা আগেই ভাংচুর করেছে। তারা নির্বাচনী প্রচার চালালেও নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে এখন নাটকীয় কায়দায় কল্প কাহিনী সাজাচ্ছেন।