কুষ্টিয়ায় আড়াই লাখেরও বেশি ব্যবধানে জয় ইনু-হানিফের
কুষ্টিয়া প্রতিবেদক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:২২
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চার সংসদীয় আসনে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সবগুলো আসনেই জয় লাভ করেছেন নৌকা প্রার্থীরা। এর মধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) ১২৬ কেন্দ্রে সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফল আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে রেজা আহমেদ বাচ্চুর প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪২০।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) ১৫৮ কেন্দ্রের সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফলে মহাজোট সমর্থিত নৌকা প্রতীকে হাসানুল হক ইনু ২ লাখ ৮২ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত (জাপা) ধানের শীষ প্রতীকে আহসান হাবিব লিংকন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৫১ ভোট।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) ১৩৪ কেন্দ্রের সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে মাহবুব উল আলম হানিফ ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকে জাকির হোসেন সরকার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭৯ ভোট।
কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) ১৪৭ কেন্দ্রের সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে সেলিম আলতাফ জর্জ ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮শ ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী পেয়েছেন ১২ হাজার ৩১৯ ভোট।
জেলার ৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৮২ জন পুরুষ এবং ৭ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৩ জন মহিলাসহ মোট ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫ জন ভোটারের ভোট গ্রহণের জন্য ৫৬৫টি কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৯৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, রবিবার সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটারদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানে জেলার ৪টি সংসদীয় আসন এলাকার ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং কর্মকর্তাদের সাথে ৬ হাজার ৭৮০জন আনসার সদস্য/সদস্যা, ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১ হাজার ৬৪৮ জন পুলিশ সদস্য/সদস্যা, ১১৩ জন র্যাব সদস্য, ৫৫০ বিজিবি সদস্য এবং ৬৭০ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কুষ্টিয়া প্রতিবেদক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:২২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চার সংসদীয় আসনে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সবগুলো আসনেই জয় লাভ করেছেন নৌকা প্রার্থীরা। এর মধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) ১২৬ কেন্দ্রে সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফল আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে রেজা আহমেদ বাচ্চুর প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪২০।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) ১৫৮ কেন্দ্রের সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফলে মহাজোট সমর্থিত নৌকা প্রতীকে হাসানুল হক ইনু ২ লাখ ৮২ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত (জাপা) ধানের শীষ প্রতীকে আহসান হাবিব লিংকন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৫১ ভোট।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) ১৩৪ কেন্দ্রের সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে মাহবুব উল আলম হানিফ ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকে জাকির হোসেন সরকার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭৯ ভোট।
কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) ১৪৭ কেন্দ্রের সব কয়টির প্রাপ্ত ফলাফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে সেলিম আলতাফ জর্জ ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮শ ৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী পেয়েছেন ১২ হাজার ৩১৯ ভোট।
জেলার ৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৮২ জন পুরুষ এবং ৭ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৩ জন মহিলাসহ মোট ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫ জন ভোটারের ভোট গ্রহণের জন্য ৫৬৫টি কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৯৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, রবিবার সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটারদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানে জেলার ৪টি সংসদীয় আসন এলাকার ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং কর্মকর্তাদের সাথে ৬ হাজার ৭৮০জন আনসার সদস্য/সদস্যা, ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১ হাজার ৬৪৮ জন পুলিশ সদস্য/সদস্যা, ১১৩ জন র্যাব সদস্য, ৫৫০ বিজিবি সদস্য এবং ৬৭০ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করেন।