কিশোরগঞ্জের ৬টিতেই নৌকার জয়, ভোটপ্রাপ্তিতে যোজন দূরে ঐক্যফ্রন্ট
শহীদুল ইসলাম পলাশ, কিশোরগঞ্জ প্রতিবেদক | ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ছয়টিতেই মহাজোটের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনের সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। ভোট গণনার শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
কিশোরগঞ্জ-১ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৭৩ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপি প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫২১ ভোট। এ আসনে ১৬৬টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার ১৯৩।
কিশোরগঞ্জ-২ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক পুলিশের আইজিপি নূর মোহাম্মদ পেয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ১০ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন পেয়েছেন ৭১ হাজার ৮৮৭ ভোট। এ আসনে ১৬৫টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪২০টি।
কিশোরগঞ্জ-৩ মহাজোটের মনোনীত জাতীয়পার্টির প্রার্থী অ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু পেয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৬ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত জেএসডি প্রার্থী ড. সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৬২ ভোট। এ আসনে ১৩৫টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৯।
কিশোরগঞ্জ-৪ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ২২৩ ভোট। এর নিকটতম প্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭০ ভোট। এ আসনে ১৩৪টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ২৪৬টি।
কিশোরগঞ্জ-৫ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজল হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৯৫৬ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৯১ ভোট। এ আসনে ৯৮টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৮টি।
কিশোরগঞ্জ-৬ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নাজমুল হাসান পাপন পেয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৩ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির প্রার্থী মো. শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৯০ ভোট। এ আসনে ১৩৭টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৫১।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ছিল ২১ লাখ ২৬ হাজার ৪২৭ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ১৭ জন পুরুষ ভোটার এবং ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৪১০ জন মহিলা ভোটার। ৬টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৩৫টি। এই ৮৩৫ ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ১৭৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের সব আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুর ১টা থেকে আড়াইটার মধ্যেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগ রাতেই ব্যালটে সিল মারা, নির্বাচনের দিনে কেন্দ্র দখল, ঐক্যফ্রন্টের এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়া, বেশির ভাগ কেন্দ্রে দুপুর ১২ টার মধ্যেই ব্যালট পেপার শেষসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শহীদুল ইসলাম পলাশ, কিশোরগঞ্জ প্রতিবেদক | ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ছয়টিতেই মহাজোটের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনের সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। ভোট গণনার শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
কিশোরগঞ্জ-১ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৭৩ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপি প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫২১ ভোট। এ আসনে ১৬৬টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার ১৯৩।
কিশোরগঞ্জ-২ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক পুলিশের আইজিপি নূর মোহাম্মদ পেয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ১০ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন পেয়েছেন ৭১ হাজার ৮৮৭ ভোট। এ আসনে ১৬৫টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪২০টি।
কিশোরগঞ্জ-৩ মহাজোটের মনোনীত জাতীয়পার্টির প্রার্থী অ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু পেয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৬ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত জেএসডি প্রার্থী ড. সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৬২ ভোট। এ আসনে ১৩৫টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৯।
কিশোরগঞ্জ-৪ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ২২৩ ভোট। এর নিকটতম প্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭০ ভোট। এ আসনে ১৩৪টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ২৪৬টি।
কিশোরগঞ্জ-৫ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজল হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৯৫৬ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৯১ ভোট। এ আসনে ৯৮টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৮টি।
কিশোরগঞ্জ-৬ মহাজোটের মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নাজমুল হাসান পাপন পেয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৩ ভোট। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির প্রার্থী মো. শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৯০ ভোট। এ আসনে ১৩৭টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৫১।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ছিল ২১ লাখ ২৬ হাজার ৪২৭ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ১৭ জন পুরুষ ভোটার এবং ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৪১০ জন মহিলা ভোটার। ৬টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৩৫টি। এই ৮৩৫ ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ১৭৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের সব আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুর ১টা থেকে আড়াইটার মধ্যেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগ রাতেই ব্যালটে সিল মারা, নির্বাচনের দিনে কেন্দ্র দখল, ঐক্যফ্রন্টের এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়া, বেশির ভাগ কেন্দ্রে দুপুর ১২ টার মধ্যেই ব্যালট পেপার শেষসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন।