খুলনায় ভোট ডাকাতি করেছে আওয়ামী লীগ: ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:২৭
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ ‘ভোট ডাকাতি’ করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার দুপুরে নগরের কেডি ঘোষ সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই শহরে সাউন্ড বোমা ফাটিয়ে ‘ডাকাতির বিজয় উল্লাস’ করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, দলীয় এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন খুলনা-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভোটার নিশ্চিত হয়েই ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আমার আসনের অধিকাংশ কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখেছি, সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২২ শতাংশ ভোট পড়তে পারে। কিন্তু সেখানে ৪৯ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ভোটের দিনও পুলিশ ২০-২২ জন এজেন্টকে আটক করেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরও তাদের ছাড়া হয়নি। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ৭ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। তিনি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট আফম মহসিন, বিজেপি সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেপি সভাপতি মোস্তফা কামাল, মুসলিম লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, বিএনপি নেতা জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:২৭

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ ‘ভোট ডাকাতি’ করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার দুপুরে নগরের কেডি ঘোষ সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই শহরে সাউন্ড বোমা ফাটিয়ে ‘ডাকাতির বিজয় উল্লাস’ করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, দলীয় এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন খুলনা-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভোটার নিশ্চিত হয়েই ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আমার আসনের অধিকাংশ কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখেছি, সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২২ শতাংশ ভোট পড়তে পারে। কিন্তু সেখানে ৪৯ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ভোটের দিনও পুলিশ ২০-২২ জন এজেন্টকে আটক করেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরও তাদের ছাড়া হয়নি। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ৭ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। তিনি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট আফম মহসিন, বিজেপি সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেপি সভাপতি মোস্তফা কামাল, মুসলিম লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, বিএনপি নেতা জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।