গাইবান্ধা-৩ আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনুস
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:৪২
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে জয়লাভ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ১৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির দিলারা খন্দকার। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৫ ভোট।
রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডা. মো. ইউনুস আলী সরকারকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া মশাল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০ ভোট, আম প্রতীকের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মিজানুর রহমান তিতু পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট ও সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ পেয়েছেন এক হাজার ৪৮ ভোট। মোট ভোট কাস্টিং হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৩০৪ টি ও ভোট পড়েছে ৩৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এই দুই উপজেলার ১৩২ টি ভোটকেন্দ্রের ৭৮৬ টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। ভোটার ছিলেন চার লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন।
এদিকে বিকেল তিনটায় গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাসদের প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি। তিনি বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হলেও পরে তা আর ঠিক থাকেনি। ভোটে অনিয়মের অভিযোগ আনেন তিনি।
ভোট বর্জনের বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা বলেন, ভোট বর্জনের বিষয়টি খুদির সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এটি আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম তফসিলের আটজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর এই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা গেলে ৩০ ডিসেম্বর এই আসনের ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এবং এ নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।
শেয়ার করুন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:৪২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে জয়লাভ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ১৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির দিলারা খন্দকার। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৫ ভোট।
রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডা. মো. ইউনুস আলী সরকারকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া মশাল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০ ভোট, আম প্রতীকের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মিজানুর রহমান তিতু পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট ও সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ পেয়েছেন এক হাজার ৪৮ ভোট। মোট ভোট কাস্টিং হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৩০৪ টি ও ভোট পড়েছে ৩৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এই দুই উপজেলার ১৩২ টি ভোটকেন্দ্রের ৭৮৬ টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। ভোটার ছিলেন চার লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন।
এদিকে বিকেল তিনটায় গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাসদের প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি। তিনি বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হলেও পরে তা আর ঠিক থাকেনি। ভোটে অনিয়মের অভিযোগ আনেন তিনি।
ভোট বর্জনের বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা বলেন, ভোট বর্জনের বিষয়টি খুদির সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এটি আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম তফসিলের আটজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর এই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা গেলে ৩০ ডিসেম্বর এই আসনের ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এবং এ নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।