দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:৩৫
ছবিটি খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তোলা।
দ্বিতীয় ধাপে আজ শনিবার দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
৬০ পৌরসভায় মেয়র হতে লড়ছেন মোট ২২১ জন প্রার্থী। এছাড়াও সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে।
এর মধ্যে ২৯ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি ৩১ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট হবে।
প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বরের ভোট অনেকটা শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপের ভোটকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কয়েকটি এলাকায়।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে এই দফার ভোট সংঘাত ছড়িয়েছে। এর মধ্যে দুয়েকটি জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভোটের সংঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশও উদ্ধার হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে ইসি।
এ ছাড়া পাবনার সুজানগরে আজ ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ভোটের দিন দেওয়া হয়েছে ৩০ জানুয়ারি।
অন্যদিকে প্রথম ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় তখন ভোট স্থগিত করা হয়। সেই ভোট হচ্ছে আজ দ্বিতীয় ধাপে।
বরাবরের মতো এ ধাপেও মূল লড়াই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে হলেও সব মিলিয়ে এবার নয়টি দলের প্রার্থী রয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।
এবার পৌরসভাগুলোতে ভোট হচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ২৪টি পৌরসভায় ভোট হয়, এর অধিকাংশ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন। আজ দ্বিতীয় ধাপের পরে তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।
৬০ পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলিয়ে তিন পদে প্রার্থী ৩২৮৬ জন। তার মধ্যে মেয়র পদে ২২১, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৪৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। ১০৮০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ ৬৫০৮টি, ভোটার ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ এবং নারী ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন।
প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য (অস্ত্রসহ), একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য পিসি (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ) এবং অঙ্গীভূত আনসার (লাঠিসহ তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য) নিয়ে মোট ১১ জন নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য (অস্ত্রসহ), একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য পিসি (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ) এবং অঙ্গীভূত আনসার (লাঠিসহ চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য) মিলিয়ে ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটার সংখ্যা এক লাখের বেশি হলে ৪ প্লাটুন, ৫০ হাজারের বেশি কিন্তু এক লাখের নিচে হলে ৩ প্লাটুন, ১০ হাজারের বেশি কিন্তু ৫০ হাজারের নিচে হলে ২ প্লাটুন এবং ভোটার সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে হলে ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে পৌর নির্বাচনে।
এই দফার নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা, পিরোজপুর সদর এবং নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী হওয়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাতজন সাধারণ কাউন্সিলরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:৩৫

দ্বিতীয় ধাপে আজ শনিবার দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
৬০ পৌরসভায় মেয়র হতে লড়ছেন মোট ২২১ জন প্রার্থী। এছাড়াও সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে।
এর মধ্যে ২৯ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি ৩১ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট হবে।
প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বরের ভোট অনেকটা শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপের ভোটকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কয়েকটি এলাকায়।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে এই দফার ভোট সংঘাত ছড়িয়েছে। এর মধ্যে দুয়েকটি জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভোটের সংঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশও উদ্ধার হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে ইসি।
এ ছাড়া পাবনার সুজানগরে আজ ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ভোটের দিন দেওয়া হয়েছে ৩০ জানুয়ারি।
অন্যদিকে প্রথম ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় তখন ভোট স্থগিত করা হয়। সেই ভোট হচ্ছে আজ দ্বিতীয় ধাপে।
বরাবরের মতো এ ধাপেও মূল লড়াই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে হলেও সব মিলিয়ে এবার নয়টি দলের প্রার্থী রয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।
এবার পৌরসভাগুলোতে ভোট হচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ২৪টি পৌরসভায় ভোট হয়, এর অধিকাংশ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন। আজ দ্বিতীয় ধাপের পরে তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।
৬০ পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলিয়ে তিন পদে প্রার্থী ৩২৮৬ জন। তার মধ্যে মেয়র পদে ২২১, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৪৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। ১০৮০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ ৬৫০৮টি, ভোটার ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ এবং নারী ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন।
প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য (অস্ত্রসহ), একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য পিসি (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ) এবং অঙ্গীভূত আনসার (লাঠিসহ তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য) নিয়ে মোট ১১ জন নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য (অস্ত্রসহ), একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য পিসি (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ) এবং অঙ্গীভূত আনসার (লাঠিসহ চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী সদস্য) মিলিয়ে ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটার সংখ্যা এক লাখের বেশি হলে ৪ প্লাটুন, ৫০ হাজারের বেশি কিন্তু এক লাখের নিচে হলে ৩ প্লাটুন, ১০ হাজারের বেশি কিন্তু ৫০ হাজারের নিচে হলে ২ প্লাটুন এবং ভোটার সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে হলে ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে পৌর নির্বাচনে।
এই দফার নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা, পিরোজপুর সদর এবং নারায়ণগঞ্জের তারাব পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী হওয়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাতজন সাধারণ কাউন্সিলরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।