আদমজী ইপিজেডে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৫৬
আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় লেবার সরবরাহের কাজকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে সুমিলপাড়া এলাকায় দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনামিয়া বাজারের বিহারি কলোনি এক নম্বর গেটের বন্ধ ম্যাচ এলাকায় পানি আক্তার ও কসাই বাবু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন গুরুতরসহ উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন সজল, কাউসার, হেলাল, সোহাগ, সজীব, মাহিন, সাকিব, মিজান, হৃদয় ও স্বপন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আদমজী ইপিজেডের মারুহিশা নামক রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় লেবার সরবরাহ নিয়ে নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি সমর্থিত পানি আক্তার ও একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল সমর্থিত কসাই বাবুর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। কারখানাটি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি আক্তার। বাবু কারখানাটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে পানি আক্তারের লোকজন কারখানা থেকে কাজ করে বিহারি কলোনির পকেট গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় কসাই বাবুর লোকজন তাদের নানা হুমকি দেয়। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনার পর থেকেই পানি আক্তার ও কসাই বাবু আত্মগোপন করায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় (বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত) কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৫৬

আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় লেবার সরবরাহের কাজকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে সুমিলপাড়া এলাকায় দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনামিয়া বাজারের বিহারি কলোনি এক নম্বর গেটের বন্ধ ম্যাচ এলাকায় পানি আক্তার ও কসাই বাবু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন গুরুতরসহ উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন সজল, কাউসার, হেলাল, সোহাগ, সজীব, মাহিন, সাকিব, মিজান, হৃদয় ও স্বপন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আদমজী ইপিজেডের মারুহিশা নামক রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় লেবার সরবরাহ নিয়ে নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি সমর্থিত পানি আক্তার ও একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল সমর্থিত কসাই বাবুর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। কারখানাটি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি আক্তার। বাবু কারখানাটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে পানি আক্তারের লোকজন কারখানা থেকে কাজ করে বিহারি কলোনির পকেট গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় কসাই বাবুর লোকজন তাদের নানা হুমকি দেয়। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনার পর থেকেই পানি আক্তার ও কসাই বাবু আত্মগোপন করায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় (বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত) কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।