সৈয়দপুর পৌর নির্বাচন: অনিয়মের অভিযোগে জাপার মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন
নীলফামারী প্রতিনিধি | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:১৭
ভোট কেন্দ্র দখল ও কেন্দ্র থেকে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টি দলীয় মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
রবিবার বেলা সোয়া ১১টায় সৈয়দপুর পৌর শহরের পাঁচমাথা মোড়ে তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী সিদ্দিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকলেও লাঙ্গলের সুনিশ্চিত বিজয় জেনে সরকার দলীয় নেতা–কর্মীরা পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৪১টি ভোট কেন্দ্র থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এমনকি লাঙ্গলের কর্মীদের গুম করাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
সিদ্দিকুল আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও লাঙ্গল প্রতীকের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। এমনকি লাঙ্গলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমার ছোট ভাইকে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করেন মনিরুজ্জামান নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে এনে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ সৈয়দপুর পৌরসভার ৪৭ হাজার ১১২ জন নারী ও ৪৬ হাজার ৭৪৬ জন পুরুষসহ মোট ৯৩ হাজার ৮৫৮ জন ভোটার প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে কেন্দ্র গুলোতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্রসহ মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৫ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নীলফামারী প্রতিনিধি | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:১৭
ভোট কেন্দ্র দখল ও কেন্দ্র থেকে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টি দলীয় মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
রবিবার বেলা সোয়া ১১টায় সৈয়দপুর পৌর শহরের পাঁচমাথা মোড়ে তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী সিদ্দিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকলেও লাঙ্গলের সুনিশ্চিত বিজয় জেনে সরকার দলীয় নেতা–কর্মীরা পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৪১টি ভোট কেন্দ্র থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এমনকি লাঙ্গলের কর্মীদের গুম করাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
সিদ্দিকুল আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও লাঙ্গল প্রতীকের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। এমনকি লাঙ্গলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমার ছোট ভাইকে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করেন মনিরুজ্জামান নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে এনে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ সৈয়দপুর পৌরসভার ৪৭ হাজার ১১২ জন নারী ও ৪৬ হাজার ৭৪৬ জন পুরুষসহ মোট ৯৩ হাজার ৮৫৮ জন ভোটার প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে কেন্দ্র গুলোতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্রসহ মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৫ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।