স্বামী আওয়ামী লীগের প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই স্ত্রী
পাবনা প্রতিনিধি | ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ১১:০৩
নুরুন নবী দুলাল
ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুন নবী দুলাল মাস্টারের পাশাপাশি তার দুই স্ত্রীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে তার প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গুড়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুন নবী দুলাল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চাকরির সময়সীমা আরও ১২ বছর বাকি থাকলেও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে তিনি ছয় মাস আগে অবসর নেন।
এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণার পরে তিনি ও দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি দুলাল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। পরে গত রবিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি।
বৃহস্পতিবার দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দুলাল। এর কিছুক্ষণ পর তার দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নুরুন নবী দুলাল এলাকার জনপ্রিয় নেতা হওয়ায় চাকরি ছেড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই নিয়ে সংশয় থাকায় দুই স্ত্রীকে দিয়েও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করান। কেননা তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করলে বহিষ্কার হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্বাচন না করে স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন।
তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ও দুই সতিনের মধ্যে সুসম্পর্কের ঘাটতির কারণে ফেরদৌসী বেগম ও নাসিমা খাতুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দুলাল বলেন, বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি। যাতে পরিবারের কেউ একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারি। আমি অনেক চিন্তাশীল মানুষ বলেই ভেবেচিন্তে কাজটি করেছি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পাবনা প্রতিনিধি | ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ১১:০৩

ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুন নবী দুলাল মাস্টারের পাশাপাশি তার দুই স্ত্রীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে তার প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গুড়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুন নবী দুলাল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চাকরির সময়সীমা আরও ১২ বছর বাকি থাকলেও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে তিনি ছয় মাস আগে অবসর নেন।
এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণার পরে তিনি ও দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি দুলাল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। পরে গত রবিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি।
বৃহস্পতিবার দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দুলাল। এর কিছুক্ষণ পর তার দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নুরুন নবী দুলাল এলাকার জনপ্রিয় নেতা হওয়ায় চাকরি ছেড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই নিয়ে সংশয় থাকায় দুই স্ত্রীকে দিয়েও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করান। কেননা তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করলে বহিষ্কার হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্বাচন না করে স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন।
তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ও দুই সতিনের মধ্যে সুসম্পর্কের ঘাটতির কারণে ফেরদৌসী বেগম ও নাসিমা খাতুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দুলাল বলেন, বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি। যাতে পরিবারের কেউ একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারি। আমি অনেক চিন্তাশীল মানুষ বলেই ভেবেচিন্তে কাজটি করেছি।