সরকারি ঘর না পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া ভিক্ষুক পেলেন ৩৭৭ ভোট
অনলাইন ডেস্ক | ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৬
ময়মনসিংহের ত্রিশালের দুই নম্বর বৈলর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকির। তিনি সরকারি ঘর না পাওয়ার প্রতিবাদে নির্বাচনে অংশ নেন।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ১০ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মশিউর রহমান শাহানশাহ। তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন ত্রিশাল উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি সোহেল পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪১৯ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান কবীর পেয়েছেন চার ১৩৯ ভোট এবং আবুল মুনসুর ফকির ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে নিজের অভিমত জানিয়ে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকির বলেন, আমি ভিক্ষুক মানুষ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছিলাম। ইউনিয়নবাসী আমাকে ভালোবেসে ৩৭৭ ভোট দিয়েছেন। এত ভোট পেয়ে আমি খুব খুশি।
তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি নাই তাতে কি হয়েছে, মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নিয়ে তাদের পাশে সবসময় থাকবো। এই নির্বাচন ছিল আমার প্রতিবাদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৬

ময়মনসিংহের ত্রিশালের দুই নম্বর বৈলর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকির। তিনি সরকারি ঘর না পাওয়ার প্রতিবাদে নির্বাচনে অংশ নেন।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ১০ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মশিউর রহমান শাহানশাহ। তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন ত্রিশাল উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি সোহেল পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪১৯ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান কবীর পেয়েছেন চার ১৩৯ ভোট এবং আবুল মুনসুর ফকির ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে নিজের অভিমত জানিয়ে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকির বলেন, আমি ভিক্ষুক মানুষ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছিলাম। ইউনিয়নবাসী আমাকে ভালোবেসে ৩৭৭ ভোট দিয়েছেন। এত ভোট পেয়ে আমি খুব খুশি।
তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি নাই তাতে কি হয়েছে, মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নিয়ে তাদের পাশে সবসময় থাকবো। এই নির্বাচন ছিল আমার প্রতিবাদ।