‘গানবাজনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’ চাওয়া সেই কাউন্সিলর ফের নির্বাচিত
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:০৮
এলাকায় ‘গানবাজনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’ চাওয়া আলোচিত সেই কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ফের নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বছর এলাকায় ‘গানবাজনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’ করে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর, সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেনের ভাতিজা।
নুর হোসেন পাশের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। সেই ওয়ার্ডে এবার জয়ী হয়েছেন তার ভাই নূর উদ্দিন।
নূর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল এ নিয়ে তৃতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন। অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হওয়ার পর প্রতিটি ভোটেই জিতছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার এবং সদর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা খানমের স্বাক্ষরে কাউন্সিলর পদে ভোটের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
শাহজালাল যে ওয়ার্ডে জিতেছেন, সেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নয়টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ২২ হাজার ৬৪৬টি। মোট ভোট পড়েছে ১০ হাজার ১৮০টি। বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট।
এ ওয়ার্ডে মোট ছয়জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৩ হাজার ৭১৯ ভোট বেশি পেয়ে জয় পেয়েছেন শাহজালাল।
শাহজালাল ঠেলাগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল হোসেন ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬০১ ভোট।
এখানে অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে এ আর ফারুক আহমেদ রেডিও প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৪ ভোট, চাঁদনী আক্তার জ্যোতি ঝুড়ি প্রতীকে ২৯ ভোট, মো. আলমগীর লাটিম প্রতীকে ৮৩ ভোট, মো. ইরান মিষ্টিকুমড়া প্রতীকে ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আরও তিন কাউন্সিলরের সঙ্গে শাহজালালকে বরখাস্ত করেছিল।
গত বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে এলাকায় ‘গানবাজনা সম্পূর্ণ’ নিষিদ্ধ করে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর শাহজালাল। সেই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে অবশ্য তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:০৮

এলাকায় ‘গানবাজনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’ চাওয়া আলোচিত সেই কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ফের নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বছর এলাকায় ‘গানবাজনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’ করে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর, সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেনের ভাতিজা।
নুর হোসেন পাশের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। সেই ওয়ার্ডে এবার জয়ী হয়েছেন তার ভাই নূর উদ্দিন।
নূর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল এ নিয়ে তৃতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন। অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হওয়ার পর প্রতিটি ভোটেই জিতছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার এবং সদর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা খানমের স্বাক্ষরে কাউন্সিলর পদে ভোটের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
শাহজালাল যে ওয়ার্ডে জিতেছেন, সেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নয়টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ২২ হাজার ৬৪৬টি। মোট ভোট পড়েছে ১০ হাজার ১৮০টি। বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট।
এ ওয়ার্ডে মোট ছয়জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৩ হাজার ৭১৯ ভোট বেশি পেয়ে জয় পেয়েছেন শাহজালাল।
শাহজালাল ঠেলাগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল হোসেন ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬০১ ভোট।
এখানে অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে এ আর ফারুক আহমেদ রেডিও প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৪ ভোট, চাঁদনী আক্তার জ্যোতি ঝুড়ি প্রতীকে ২৯ ভোট, মো. আলমগীর লাটিম প্রতীকে ৮৩ ভোট, মো. ইরান মিষ্টিকুমড়া প্রতীকে ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আরও তিন কাউন্সিলরের সঙ্গে শাহজালালকে বরখাস্ত করেছিল।
গত বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে এলাকায় ‘গানবাজনা সম্পূর্ণ’ নিষিদ্ধ করে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর শাহজালাল। সেই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে অবশ্য তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।