‘শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর লিস্টই ফাইনাল’
অনলাইন ডেস্ক | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:০১
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ শুরু করেছে সার্চ কমিটি। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নাম নেওয়া এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকও করতে যাচ্ছে তারা। কেউ নিজের নামও প্রস্তাব করতে পারবেন সার্চ কমিটির কাছে।
তবে অতীতের অভিজ্ঞতায় সার্চ কমিটির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিশিষ্টজনরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনের মনে করেন, সার্চ কমিটি সবার দরখাস্ত নেবে, কিন্তু শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর লিস্টই ফাইনাল।
শুক্রবার শুক্রবার সকালে এ নিয়ে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো-
‘বর্তমান সার্চ কমিটির প্রধানই বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রধান নুরুল হুদা এবং উনার সদস্যদেরকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই আশা করার কোন কারণ নেই এর চেয়ে ভালো কাউকে উনি খুঁজে পাবেন। উনারা যা করেন তা হলো সবার কাছ থেকে লিস্ট চান। এইবার আবার এক ধাপ এগিয়ে। এইবার দেখছি ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত, সিভিও নিচ্ছেন। অনেকটা পুরস্কার বা অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার জন্য দরখাস্ত আহ্বানের মত। সাধারণত এইরকম ক্ষেত্রে নোমিনেশন চাওয়া যেতে পারে। মানে নিজের নাম না দিয়ে অন্যদের নাম এবং সিভি দেওয়া। কিন্তু নিজেই দরখাস্ত করা প্রমান করে সে বাই ডিফল্ট অযোগ্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উনারা সবার কথা শুনবেন, সবার দরখাস্ত নিবেন কিন্তু শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর লিস্টই ফাইনাল। অর্থাৎ আইন করেন আর যাই করেন যেই লাউ সেই কদুই। এই দেশ নিয়ে কোনই আশা নাই।
বিভিন্ন কমিশনে সরকার আমলা নিয়োগ দিয়ে মজা পেয়ে গেছে। কারণ আমলারা খুব obedient হয়। সংবিধান তাকে কি ক্ষমতা দিয়েছে সেই দিকে ফিরেও তাকাবে না। এমন মানুষকে খুঁজে বের করা হবে যে বড় হতে জানবে না। যে শুধু জীবনভর জী হুজুর আর যাচ্ছি হুজুর করার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাই নির্বাচন কমিশন প্রধান একজন আমলাই হবেন। সাথে একজন সদস্যও। এর বাহিরে একজন সেনাবাহিনীর এবং একজন বিচার বিভাগের। তাই দরখাস্ত যারা জমা দিচ্ছেন বা যারা দৌড় ঝাঁপ দিচ্ছেন তাদের সকলেই এই ৩ গ্রুপের। এই কম্বিনেশন দিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনার সাক্সেনার মত পাওয়া দিবাস্বপ্ন। বড়জোর আরেকজন নুরুল হুদা বা তার চেয়েও খারাপ কাউকে খুঁজে পাবেন।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:০১

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ শুরু করেছে সার্চ কমিটি। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নাম নেওয়া এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকও করতে যাচ্ছে তারা। কেউ নিজের নামও প্রস্তাব করতে পারবেন সার্চ কমিটির কাছে।
তবে অতীতের অভিজ্ঞতায় সার্চ কমিটির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিশিষ্টজনরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনের মনে করেন, সার্চ কমিটি সবার দরখাস্ত নেবে, কিন্তু শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর লিস্টই ফাইনাল।
শুক্রবার শুক্রবার সকালে এ নিয়ে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো-
‘বর্তমান সার্চ কমিটির প্রধানই বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রধান নুরুল হুদা এবং উনার সদস্যদেরকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই আশা করার কোন কারণ নেই এর চেয়ে ভালো কাউকে উনি খুঁজে পাবেন। উনারা যা করেন তা হলো সবার কাছ থেকে লিস্ট চান। এইবার আবার এক ধাপ এগিয়ে। এইবার দেখছি ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত, সিভিও নিচ্ছেন। অনেকটা পুরস্কার বা অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার জন্য দরখাস্ত আহ্বানের মত। সাধারণত এইরকম ক্ষেত্রে নোমিনেশন চাওয়া যেতে পারে। মানে নিজের নাম না দিয়ে অন্যদের নাম এবং সিভি দেওয়া। কিন্তু নিজেই দরখাস্ত করা প্রমান করে সে বাই ডিফল্ট অযোগ্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উনারা সবার কথা শুনবেন, সবার দরখাস্ত নিবেন কিন্তু শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর লিস্টই ফাইনাল। অর্থাৎ আইন করেন আর যাই করেন যেই লাউ সেই কদুই। এই দেশ নিয়ে কোনই আশা নাই।
বিভিন্ন কমিশনে সরকার আমলা নিয়োগ দিয়ে মজা পেয়ে গেছে। কারণ আমলারা খুব obedient হয়। সংবিধান তাকে কি ক্ষমতা দিয়েছে সেই দিকে ফিরেও তাকাবে না। এমন মানুষকে খুঁজে বের করা হবে যে বড় হতে জানবে না। যে শুধু জীবনভর জী হুজুর আর যাচ্ছি হুজুর করার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাই নির্বাচন কমিশন প্রধান একজন আমলাই হবেন। সাথে একজন সদস্যও। এর বাহিরে একজন সেনাবাহিনীর এবং একজন বিচার বিভাগের। তাই দরখাস্ত যারা জমা দিচ্ছেন বা যারা দৌড় ঝাঁপ দিচ্ছেন তাদের সকলেই এই ৩ গ্রুপের। এই কম্বিনেশন দিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনার সাক্সেনার মত পাওয়া দিবাস্বপ্ন। বড়জোর আরেকজন নুরুল হুদা বা তার চেয়েও খারাপ কাউকে খুঁজে পাবেন।’