নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক জেলহাজতে
বরগুনা প্রতিনিধি | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৪
নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার জুডিশিয়াল-১ বামনা কোর্টের বিচারক রাসেল মজুমদারের আদালতে ১০ আসামি হাজির হয়ে জামিন চাইলে আটজনকে জামিন দেন বিচারক। এ সময় দু নম্বর আসামি বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও ১ নম্বর আসামি আল-আমিন হোসেন জনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
একই মামলায় জামিন প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির, জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন পিন্টু, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. কবীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমীন, মুন ফরাজী, যুবলীগ নেতা অমি তালুকদার ও মো. রাব্বি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২১ জুন প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বামনা উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। স্থগিত হওয়া নির্বাচনের আগে গত ২২ মার্চ বামনা উপজেলার গোল চত্ত্বরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় একদিন পরে গত ২৩ মার্চ বরগুনা কোর্টে তরিকুজ্জামান সোহাগ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ২৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত ১০ আসামিকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
বুধবার ওই মামলায় প্রথম শুনানীর দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি আটজনকে জামিন দেয়।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী বাদল মিয়ার নেতৃত্বে নামমুল আহসান রাসেল ও ইমরান হোসেন আদালতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থান করেন। আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান পান্না ও অ্যাড. ওয়ালিউল্লাহ অলি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার জেরে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা এঘটনায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের মুক্ত করে আনা হবে।
মামলার বাদী স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমি আদালতের ওপর সন্তুষ্ট। আমার ওপর হামলার বিচার আদালতের মাধ্যমে পাব। বাকি আসামিদেরও বিচার আদলত করবেন এ বিশ্বাস আমার রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান পান্না বলেন, নির্বাচনকালীন সংগঠিত একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমার মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। আমরা আমার মক্কেলের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হব।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বরগুনা প্রতিনিধি | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৪

নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার জুডিশিয়াল-১ বামনা কোর্টের বিচারক রাসেল মজুমদারের আদালতে ১০ আসামি হাজির হয়ে জামিন চাইলে আটজনকে জামিন দেন বিচারক। এ সময় দু নম্বর আসামি বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও ১ নম্বর আসামি আল-আমিন হোসেন জনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
একই মামলায় জামিন প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির, জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন পিন্টু, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. কবীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমীন, মুন ফরাজী, যুবলীগ নেতা অমি তালুকদার ও মো. রাব্বি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২১ জুন প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বামনা উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। স্থগিত হওয়া নির্বাচনের আগে গত ২২ মার্চ বামনা উপজেলার গোল চত্ত্বরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় একদিন পরে গত ২৩ মার্চ বরগুনা কোর্টে তরিকুজ্জামান সোহাগ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ২৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত ১০ আসামিকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
বুধবার ওই মামলায় প্রথম শুনানীর দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি আটজনকে জামিন দেয়।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী বাদল মিয়ার নেতৃত্বে নামমুল আহসান রাসেল ও ইমরান হোসেন আদালতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থান করেন। আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান পান্না ও অ্যাড. ওয়ালিউল্লাহ অলি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার জেরে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা এঘটনায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের মুক্ত করে আনা হবে।
মামলার বাদী স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমি আদালতের ওপর সন্তুষ্ট। আমার ওপর হামলার বিচার আদালতের মাধ্যমে পাব। বাকি আসামিদেরও বিচার আদলত করবেন এ বিশ্বাস আমার রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান পান্না বলেন, নির্বাচনকালীন সংগঠিত একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমার মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। আমরা আমার মক্কেলের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হব।