কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের অনুসারী আরফানুল হক।

শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় এ প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৩ এপ্রিল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে মেয়র পদে দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে আরফানুল হকের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আজ বিকেল পাঁচটায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৪ জনের মধ্য থেকে আরফানুল হককে মনোনীত করা হয়।

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং জেলা পিপি এড. জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার তৃণমূলের পোড়খাওয়া একজন নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। রিফাত ভাইয়ের মনোনয়ন লাভে দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। এবার কুমিল্লায় আর কোনো দ্বিধা বিভক্তির আশঙ্কা নেই।

মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, দলীয় প্রতীক একজন ত্যাগী নেতার হাতে এসেছে বলে নেতা কর্মীরা ব্যাপক উল্লাস প্রকাশ করছে। এ ছাড়া কুমিল্লা মহানগরের বাসিন্দারাও তাকে পছন্দ করে। তাই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী করতে আমাদের অনেক সহজ হবে।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবুল বাশার বলেন, আরফানুল হক রিফাত একজন ত্যাগী নেতা। তাই দলের এবং নগরের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য। আমার বিশ্বাস কুমিল্লাবাসী এবার একতাবদ্ধ হয়ে তাকেই নগর পিতা হিসেবে নির্বাচিত করবে।

মনোনয়ন পাওয়ায় দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কুমিল্লার গণমানুষের নেতা আ ক ম বাহাউদ্দিনসহ দলের নেতা–কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আরফানুল হক।

তিনি বলেন, আমি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, জামায়াত শিবির কর্তৃক অনেক জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনায় দলের দুসময়ে সকল কর্মসূচি পালন করেছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগের মূল্যায়ন করেছেন। সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে দলকে বিজয় উপহার দিতে চাই।

আরফানুল হক ১৯৮০-৮১ সালে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজছাত্র সংসদের ক্রীড়া ও শরীরচর্চা সম্পাদক ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কুমিল্লা ক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।

২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হয়। দুটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের সমর্থিত ও মনোনীত প্রার্থী মেয়র পদে পরাজিত হন। আগামী ১৫ জুন এই সিটি করপোরেশনে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।