দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার- আমরা ইভিএম পদ্ধতির পক্ষে: আ. লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ জুন, ২০২২ ২০:৩৯
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার- আমরা ইভিএম পদ্ধতির পক্ষে, রাখঢাক করে কোনো লাভ নেই।’
তিনি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতিটা বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার বিকালে ইভিএমের কারিগরি দিক যাচাই এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে যন্ত্রটির ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিইসির মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভায় আমন্ত্রিত ১৩টি দলের মধ্যে অংশ নেয় ১০টি। স্বাগত বক্তব্যে সিইসি জানান, ইভিএম নিয়ে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে।
সিইসির স্বাগত বক্তৃতার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া শুরু হলে প্রথমেই আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল বক্তব্য রাখে।
ইভিএম নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ইভিএমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করার জন্য আমরা সিইসির কাছে আহ্বান করছি। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতি অধিকতর জনপ্রিয় এবং সহজে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ইসি এখন থেকেই প্রচার-প্রচারণায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।’
ইভিএমের পক্ষে নিজেদের অবস্থানের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে, ইসির কার্যক্রমে ইভিএমসহ প্রযুক্তির বৃদ্ধির কারণে সব কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি বেড়েছে। ইভিএম ব্যবহারের ফলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দল এবং নির্বাচনে জালিয়াতি, ভোট চুরি বন্ধ হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্যে আবশ্যকীয় সব সংস্থা, প্রতিষ্ঠানকে ইসির তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত থাকবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিধি কেবলমাত্র আবশ্যকীয় দৈনন্দিন রুটিন কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা কেউ কেউ বলে থাকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বর্তমান সরকার ফ্যাসিলেটেড করবে, সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমরা দেব।’
কাদের বলেন, ‘এ সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ যেসব বিষয় নির্বাচন রিলেটেড, সেগুলো আপনাদের অধীনেই থাকবে। এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই। সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে মোটেও আগ্রহী নয়।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রতিনিধি। গণফোরামের প্রতিনিধিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যাদের আমন্ত্রণ ছিল ২১ জুন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ আমন্ত্রণ পেয়েও আসেনি।
গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করেছে ইসি। এই দুই ধাপে ১৮টি দল উপস্থিত থাকলেও সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ আটটি দল। মঙ্গলবার এ ইস্যুতে তৃতীয় বা সবশেষ সভা করছে ইসি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ জুন, ২০২২ ২০:৩৯

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার- আমরা ইভিএম পদ্ধতির পক্ষে, রাখঢাক করে কোনো লাভ নেই।’
তিনি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতিটা বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার বিকালে ইভিএমের কারিগরি দিক যাচাই এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে যন্ত্রটির ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিইসির মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভায় আমন্ত্রিত ১৩টি দলের মধ্যে অংশ নেয় ১০টি। স্বাগত বক্তব্যে সিইসি জানান, ইভিএম নিয়ে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে।
সিইসির স্বাগত বক্তৃতার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া শুরু হলে প্রথমেই আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল বক্তব্য রাখে।
ইভিএম নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ইভিএমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করার জন্য আমরা সিইসির কাছে আহ্বান করছি। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতি অধিকতর জনপ্রিয় এবং সহজে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ইসি এখন থেকেই প্রচার-প্রচারণায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।’
ইভিএমের পক্ষে নিজেদের অবস্থানের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে, ইসির কার্যক্রমে ইভিএমসহ প্রযুক্তির বৃদ্ধির কারণে সব কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি বেড়েছে। ইভিএম ব্যবহারের ফলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দল এবং নির্বাচনে জালিয়াতি, ভোট চুরি বন্ধ হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্যে আবশ্যকীয় সব সংস্থা, প্রতিষ্ঠানকে ইসির তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত থাকবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিধি কেবলমাত্র আবশ্যকীয় দৈনন্দিন রুটিন কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা কেউ কেউ বলে থাকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বর্তমান সরকার ফ্যাসিলেটেড করবে, সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমরা দেব।’
কাদের বলেন, ‘এ সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ যেসব বিষয় নির্বাচন রিলেটেড, সেগুলো আপনাদের অধীনেই থাকবে। এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই। সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে মোটেও আগ্রহী নয়।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রতিনিধি। গণফোরামের প্রতিনিধিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যাদের আমন্ত্রণ ছিল ২১ জুন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ আমন্ত্রণ পেয়েও আসেনি।
গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করেছে ইসি। এই দুই ধাপে ১৮টি দল উপস্থিত থাকলেও সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ আটটি দল। মঙ্গলবার এ ইস্যুতে তৃতীয় বা সবশেষ সভা করছে ইসি।