রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে আছে
সুদীপ্ত সাইদ খান | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
মাহিয়া মাহি। ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়িকাদের একজন। বছর শেষে দেশ রূপান্তরের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন সাম্প্রতিক কাজ ও ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুদীপ্ত সাইদ খান। ছবি তুলেছেন নূর
সাম্প্রতিক কাজ
গত রোববার ‘অবতার’ ছবির আইটেম গানের কাজ শেষ করলাম। ‘আমার মা আমার বেহেশত’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এখনো কাজ শুরু করতে পারিনি। নির্বাচনের পর বাকি কাজগুলো করব।
অভিনয় সামলে ব্যবসা?
হ্যাঁ, অভিনয় সামলে ব্যবসা করা সম্ভব। প্ল্যানটা সেভাবেই করা হয়েছে। সারা জীবন তো আর অভিনয় করব না। এটা আমার ফিউচারপ্ল্যান। আর আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ভারা’র উদ্বোধন করব নতুন বছরের ভালো একটা সময়। এ বছর ইচ্ছে থাকলেও নির্বাচনসহ নানা কারণে চালু করতে পারিনি।
সংসার কেমন চলছে?
সংসার ভালো চলছে। আমি তো ঘুরতে পছন্দ করি। ইচ্ছে হলেই যেখানে-সেখানে চলে যাই। কিন্তু আমার স্বামী অপু খুব কিপ্টা, যেতেই চায় না। ইচ্ছে আছে নির্বাচনের পরই কোথাও ঘুরতে যাব। কারণ অপুর ফ্যামিলির অনেক আত্মীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে অপুও খুব ব্যস্ত।
মাহির সকাল থেকে রাত?
বাসায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নায়িকার কোনো বেল নাইক্কা (হাসি)। বাসায় থাকলে একবারও মনে পড়ে না আমি নায়িকা। বাসায় আগেও যেভাবে ছিলাম, এখনো সেভাবেই ট্রিট করা হয়। বন্ধু-বান্ধবরা বাসায় আসে। বোরকা পরে ওদের সঙ্গে ঘুরতে যাই। তবে ক্যামেরার সামনে যখন দাঁড়াই তখন মনে হয় আমি নায়িকা।
ক্যারিয়ারে বিয়ের প্রভাব?
বিয়ের পর এত ছবির কাজের অফার পাব তা ভাবতেই পারিনি। তবে বিয়েটা আমার জন্য লাকি। বিয়ের পরপরই আমি অনেকগুলা ছবি হাতে পেয়েছি।
ক্যারিয়ারে তৃপ্তি-অতৃপ্তি?
ছয় বছরের ক্যারিয়ারে আমি যতটুকু পেয়েছি, তাতে আমি তৃপ্ত। প্রত্যাশার চেয়ে আমি অনেক বেশি পেয়েছি। এটাকে ধরে রাখতে হলে এখন থেকে সিরিয়াস হতে হবে।
যত ভুল
সিনেমা নির্বাচন করায় আমার ভুল হচ্ছে। আমাকে আরো সচেতন হতে হবে কোন সিনেমাটা আমার করা উচিত আর কোন সিনেমাটা করা উচিত নয়।
রাজনীতির অঙ্গনে
যদিও আমি রাজনীতির ‘র’ও বুঝি না। তবে এবার যেহেতু নায়ক ফারুক স্যার নির্বাচন করছেন, ওনার অ্যাক্টিভিটি দেখে আমার মনে রাজনীতির ইচ্ছে জাগছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারে গিয়েছি, সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইচ্ছে আছে রাজনীতি করার। সে ক্ষেত্রে প্রথম ভালো লাগা নৌকা। যদি সুযোগ আসে তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাচন করার অনেক ইচ্ছে আছে। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতি করে আইডল হওয়ার ইচ্ছে আছে। যেমন মাশরাফী। সবাই তাকে পছন্দ করে। আমি চাই ও রকম হতে। রাজনীতির মাধ্যমে আমি মানুষকে হেল্প করতে পারব।
বাইরের তারকাদের সঙ্গে তুলনা
আমার সঙ্গে বহির্বিশ্বের কোনো তুলনা হতেই পারে না। আমার অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ভালো অভিনয় করতে চাই।
ফ্যাশনসচেতন
ফ্যাশনে নিজেকে ১০০ তে ৪০ দেব। নিজের ফ্যাশন সম্পর্কে ধারণা বাড়াতে চাই। আমি মনে করি নিজেকে আরো ডেভেলপ করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রিতে শত্রুমিত্র?
আমার কাছে মনে হয় নায়িকারাই ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো বন্ধু হয়। যদিও আমার কারো সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তবে আমার হিরোইনদেরই ভালো লাগে। কত সুন্দর সুন্দর হিরোইন আছে আমাদের এখানে। কিন্তু কেন যেন আমার সব হিরোদের ভালো লাগে না। আমি বলব না কাদের ভালো লাগে না। তবে গুটিকয়েক হিরোর সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। যদি বলা হয় ইন্ডাস্ট্রির সবাই ফ্রেন্ড, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বন্ধু নেই।
২০১২ সালের তুলনায় আজকের মাহি
২০১২ সালে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তখন মাহিকে একটা প্রোডাকশন হাউস নিয়ে এসেছিল। সে কী করবে না করবে সেটা তারা ঠিক করে দিত। সেই ২০১২ থেকেই আমি শিখছি। ২০১৪ থেকে সেই শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগিয়ে ২০১৮ পর্যন্ত এসেছি। একা একা চলতে গিয়ে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো ২০১৯ থেকে শুধরে নেব।
সিনেমার প্রচারে অনীহা
দেবী, আয়নাবাজি ছবির প্রচার ডিফারেন্ট ছিল। এগুলো মানুষকে আকর্ষণ করে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচারগুলোয় কোনো প্ল্যান নেই, কোনো পোস্টারিং নেই। শুধু দু-একটা চ্যানেলে গিয়ে ইন্টারভিউ। এটার মানে প্রচার নয়। এ জন্যই আমি প্রচারে থাকি না। যারা বুঝে প্রচার করতে চায়, সেই টিমের সঙ্গে আমি অলওয়েজ আছি।
নতুন বছরে প্রত্যাশা
নতুন বছরের প্রত্যাশা হচ্ছে ভালো ছবি করব। বছরে ১০টা না, যদি একটা ছবিও করি তাহলে চেষ্টা করব সেই সিনেমা যেন হিট হয়।
শেয়ার করুন
সুদীপ্ত সাইদ খান | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

মাহিয়া মাহি। ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়িকাদের একজন। বছর শেষে দেশ রূপান্তরের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন সাম্প্রতিক কাজ ও ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুদীপ্ত সাইদ খান। ছবি তুলেছেন নূর
সাম্প্রতিক কাজ
গত রোববার ‘অবতার’ ছবির আইটেম গানের কাজ শেষ করলাম। ‘আমার মা আমার বেহেশত’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এখনো কাজ শুরু করতে পারিনি। নির্বাচনের পর বাকি কাজগুলো করব।
অভিনয় সামলে ব্যবসা?
হ্যাঁ, অভিনয় সামলে ব্যবসা করা সম্ভব। প্ল্যানটা সেভাবেই করা হয়েছে। সারা জীবন তো আর অভিনয় করব না। এটা আমার ফিউচারপ্ল্যান। আর আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ভারা’র উদ্বোধন করব নতুন বছরের ভালো একটা সময়। এ বছর ইচ্ছে থাকলেও নির্বাচনসহ নানা কারণে চালু করতে পারিনি।
সংসার কেমন চলছে?
সংসার ভালো চলছে। আমি তো ঘুরতে পছন্দ করি। ইচ্ছে হলেই যেখানে-সেখানে চলে যাই। কিন্তু আমার স্বামী অপু খুব কিপ্টা, যেতেই চায় না। ইচ্ছে আছে নির্বাচনের পরই কোথাও ঘুরতে যাব। কারণ অপুর ফ্যামিলির অনেক আত্মীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে অপুও খুব ব্যস্ত।
মাহির সকাল থেকে রাত?
বাসায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নায়িকার কোনো বেল নাইক্কা (হাসি)। বাসায় থাকলে একবারও মনে পড়ে না আমি নায়িকা। বাসায় আগেও যেভাবে ছিলাম, এখনো সেভাবেই ট্রিট করা হয়। বন্ধু-বান্ধবরা বাসায় আসে। বোরকা পরে ওদের সঙ্গে ঘুরতে যাই। তবে ক্যামেরার সামনে যখন দাঁড়াই তখন মনে হয় আমি নায়িকা।
ক্যারিয়ারে বিয়ের প্রভাব?
বিয়ের পর এত ছবির কাজের অফার পাব তা ভাবতেই পারিনি। তবে বিয়েটা আমার জন্য লাকি। বিয়ের পরপরই আমি অনেকগুলা ছবি হাতে পেয়েছি।
ক্যারিয়ারে তৃপ্তি-অতৃপ্তি?
ছয় বছরের ক্যারিয়ারে আমি যতটুকু পেয়েছি, তাতে আমি তৃপ্ত। প্রত্যাশার চেয়ে আমি অনেক বেশি পেয়েছি। এটাকে ধরে রাখতে হলে এখন থেকে সিরিয়াস হতে হবে।
যত ভুল
সিনেমা নির্বাচন করায় আমার ভুল হচ্ছে। আমাকে আরো সচেতন হতে হবে কোন সিনেমাটা আমার করা উচিত আর কোন সিনেমাটা করা উচিত নয়।
রাজনীতির অঙ্গনে
যদিও আমি রাজনীতির ‘র’ও বুঝি না। তবে এবার যেহেতু নায়ক ফারুক স্যার নির্বাচন করছেন, ওনার অ্যাক্টিভিটি দেখে আমার মনে রাজনীতির ইচ্ছে জাগছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারে গিয়েছি, সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইচ্ছে আছে রাজনীতি করার। সে ক্ষেত্রে প্রথম ভালো লাগা নৌকা। যদি সুযোগ আসে তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাচন করার অনেক ইচ্ছে আছে। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতি করে আইডল হওয়ার ইচ্ছে আছে। যেমন মাশরাফী। সবাই তাকে পছন্দ করে। আমি চাই ও রকম হতে। রাজনীতির মাধ্যমে আমি মানুষকে হেল্প করতে পারব।
বাইরের তারকাদের সঙ্গে তুলনা
আমার সঙ্গে বহির্বিশ্বের কোনো তুলনা হতেই পারে না। আমার অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ভালো অভিনয় করতে চাই।
ফ্যাশনসচেতন
ফ্যাশনে নিজেকে ১০০ তে ৪০ দেব। নিজের ফ্যাশন সম্পর্কে ধারণা বাড়াতে চাই। আমি মনে করি নিজেকে আরো ডেভেলপ করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রিতে শত্রুমিত্র?
আমার কাছে মনে হয় নায়িকারাই ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো বন্ধু হয়। যদিও আমার কারো সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তবে আমার হিরোইনদেরই ভালো লাগে। কত সুন্দর সুন্দর হিরোইন আছে আমাদের এখানে। কিন্তু কেন যেন আমার সব হিরোদের ভালো লাগে না। আমি বলব না কাদের ভালো লাগে না। তবে গুটিকয়েক হিরোর সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। যদি বলা হয় ইন্ডাস্ট্রির সবাই ফ্রেন্ড, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বন্ধু নেই।
২০১২ সালের তুলনায় আজকের মাহি
২০১২ সালে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তখন মাহিকে একটা প্রোডাকশন হাউস নিয়ে এসেছিল। সে কী করবে না করবে সেটা তারা ঠিক করে দিত। সেই ২০১২ থেকেই আমি শিখছি। ২০১৪ থেকে সেই শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগিয়ে ২০১৮ পর্যন্ত এসেছি। একা একা চলতে গিয়ে যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো ২০১৯ থেকে শুধরে নেব।
সিনেমার প্রচারে অনীহা
দেবী, আয়নাবাজি ছবির প্রচার ডিফারেন্ট ছিল। এগুলো মানুষকে আকর্ষণ করে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচারগুলোয় কোনো প্ল্যান নেই, কোনো পোস্টারিং নেই। শুধু দু-একটা চ্যানেলে গিয়ে ইন্টারভিউ। এটার মানে প্রচার নয়। এ জন্যই আমি প্রচারে থাকি না। যারা বুঝে প্রচার করতে চায়, সেই টিমের সঙ্গে আমি অলওয়েজ আছি।
নতুন বছরে প্রত্যাশা
নতুন বছরের প্রত্যাশা হচ্ছে ভালো ছবি করব। বছরে ১০টা না, যদি একটা ছবিও করি তাহলে চেষ্টা করব সেই সিনেমা যেন হিট হয়।