কোনো মেয়ে কি বিয়ে করতে বাকি আছে
রূপান্তর ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
২০১৮ সালটি বলিউড তারকা দীপিকা পাড়–কোনের জন্য বিশেষ। ছয় বছর প্রেম করার পর এ বছরই তিনি বিয়ে করেছেন প্রেমিককে। পেয়েছেন পুরস্কার, সম্মাননা। হয়েছেন ভারতের শীর্ষ আয় করা নারী তারকা। বিয়ের পর ফিল্মফেয়ারকে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো
বিয়ের পরে আপনার জীবনে কোনো পরিবর্তন এসেছে?
আমি অনেক বেশি বৈষয়িক হয়েছি। নিরাপদ বোধ করি। যখন আপনি একটা সম্পর্কের মধ্যে থাকবেন, তখন একটা অসহায়ত্ব কাজ করবে আপনার ভেতরে; যত দিনই প্রেম করেন না কেন। আমার ধারণা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড শব্দগুলো অর্থহীন। ক্ষেত্রবিশেষে বিয়ের তুলনায় এগুলোর কোনো ভার নেই। এখন আমরা যখন একে অন্যের দিকে তাকাই, সেখানে দায়িত্ববোধের ব্যাপার থাকে।
অভিনেত্রীর বৈবাহিক অবস্থা ছবির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে?
আশা করি পড়বে। সবাই বিবাহিত। তাতে কি ইন্ডাস্ট্রি থেমে গেছে। তার মানে কী আমাদের কোনো মেয়ে বিয়ে করতে বাকি আছে? আমার মনে হয়, এটা বক্স অফিস যতটা না চাপিয়ে দেয়, তার থেকে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোনো অভিনয়শিল্পী যদি বিয়ের পর কাজ না করে, সেটা তার সিদ্ধান্ত। বুঝতে হবে জীবনটা যাপন করতে চায় এবং পরিবারকে সময় দিতে চায়। কিন্তু আমি নিশ্চিত, নারীরা ওরকম করে ভাবে না। যখন আপনি অমন ভাববেন না তখন, ব্যাপারগুলো সে রকম হবে না।
রণবীর বলেছিলেন, তিনি বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন। আপনি কেন ১০ বছর সময় নিলেন?
এটা তো তার ওপর ছিল না। বিষয়টি হচ্ছে আমি প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত কি না। আমার আগেও কয়েকটি সম্পর্ক ছিল এবং কয়েকবার মন ভেঙেছে। যখন রণবীরের সঙ্গে দেখা হলো, এলোমেলো অবস্থায় ছিলাম। সম্পর্কহীন অবস্থায় ছিলাম। কিছুদিনের জন্য একা থাকতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর খুচরা প্রেম করব না। ১৩ বছর বয়স থেকে প্রেম করছি, বিয়ে করে ফেলেছি, এখন সে সব বলাই যায়।
বলছিলেন আপনার অনেকবার বিশ্বাস ভেঙেছে। এতে কি ঘৃণা তৈরি হয়নি?
হয়েছে। কিন্তু বিয়ে সেটাকে বদলে দিয়েছে। যখন কাউকে নিজের শতভাগ উজাড় করে দিয়ে বারবার মন ভাঙবে, সেটা জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবেই। এটা পরবর্তী সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রণবীরের জন্য এসব সামলানো কষ্টকর ছিল। আমরা যে এসব পরিস্থিতি থেকে উতরে গেছি, সেটা কেবল তার কারণে।
আপনি কি রণবীরের ফোন ঘাটেন?
দরকার পড়ে না।
আপনাকে বলা রণবীরের সবচেয়ে চমৎকার কথাটা কী ছিল?
সত্যি বলতে, প্রশংসা করতে সে কার্পণ্য করে না। এটা তাকে ভালোবাসার অন্যতম প্রধান কারণ। বছর কয়েক আগে আমি যখন তার চেয়ে বেশি রোজগার করছিলাম, এ নিয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়াই ছিল না, এ নিয়ে কখনো কোনো কথাই বলেনি। এমনকি তার আচরণেও সামান্যতম পরিবর্তন আসেনি।
এশিয়ার আবেদনময়ী নারীর মধ্যে আপনি শীর্ষে...
আমার নামটা ওখানে দেখে আমি খুশি হইনি, তা নয়। কিন্তু এই তকমা দিয়ে আমাকে যাচাই করা যাবে না। কাম ও নাম বিষয় দুটোকে এক করে ফেললে চলবে না। প্রথমেই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে এটা একটা ভুল ট্যাগ। ব্যাপারটা কিন্তু কেবলই শারীরিক নয়; মানসিক, আর্থিক ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও সম্পৃক্ত।
সম্প্রতি আপনি ভারতের চতুর্থ শীর্ষ রোজগার করা তারকা হয়েছেন।
এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত; বিশেষ করে পারিশ্রমিকবৈষম্য নিয়ে যখন কথা হয়। আমি আনন্দিত যে, বিষয়টি সামনে এসেছে। আমি এটা নিয়ে গর্বিত, কারণ আমি এটি অর্জন করেছি, চেয়ে নেইনি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

২০১৮ সালটি বলিউড তারকা দীপিকা পাড়–কোনের জন্য বিশেষ। ছয় বছর প্রেম করার পর এ বছরই তিনি বিয়ে করেছেন প্রেমিককে। পেয়েছেন পুরস্কার, সম্মাননা। হয়েছেন ভারতের শীর্ষ আয় করা নারী তারকা। বিয়ের পর ফিল্মফেয়ারকে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো বিয়ের পরে আপনার জীবনে কোনো পরিবর্তন এসেছে?
আমি অনেক বেশি বৈষয়িক হয়েছি। নিরাপদ বোধ করি। যখন আপনি একটা সম্পর্কের মধ্যে থাকবেন, তখন একটা অসহায়ত্ব কাজ করবে আপনার ভেতরে; যত দিনই প্রেম করেন না কেন। আমার ধারণা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড শব্দগুলো অর্থহীন। ক্ষেত্রবিশেষে বিয়ের তুলনায় এগুলোর কোনো ভার নেই। এখন আমরা যখন একে অন্যের দিকে তাকাই, সেখানে দায়িত্ববোধের ব্যাপার থাকে।
অভিনেত্রীর বৈবাহিক অবস্থা ছবির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে?
আশা করি পড়বে। সবাই বিবাহিত। তাতে কি ইন্ডাস্ট্রি থেমে গেছে। তার মানে কী আমাদের কোনো মেয়ে বিয়ে করতে বাকি আছে? আমার মনে হয়, এটা বক্স অফিস যতটা না চাপিয়ে দেয়, তার থেকে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোনো অভিনয়শিল্পী যদি বিয়ের পর কাজ না করে, সেটা তার সিদ্ধান্ত। বুঝতে হবে জীবনটা যাপন করতে চায় এবং পরিবারকে সময় দিতে চায়। কিন্তু আমি নিশ্চিত, নারীরা ওরকম করে ভাবে না। যখন আপনি অমন ভাববেন না তখন, ব্যাপারগুলো সে রকম হবে না।
রণবীর বলেছিলেন, তিনি বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন। আপনি কেন ১০ বছর সময় নিলেন?
এটা তো তার ওপর ছিল না। বিষয়টি হচ্ছে আমি প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত কি না। আমার আগেও কয়েকটি সম্পর্ক ছিল এবং কয়েকবার মন ভেঙেছে। যখন রণবীরের সঙ্গে দেখা হলো, এলোমেলো অবস্থায় ছিলাম। সম্পর্কহীন অবস্থায় ছিলাম। কিছুদিনের জন্য একা থাকতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর খুচরা প্রেম করব না। ১৩ বছর বয়স থেকে প্রেম করছি, বিয়ে করে ফেলেছি, এখন সে সব বলাই যায়।
বলছিলেন আপনার অনেকবার বিশ্বাস ভেঙেছে। এতে কি ঘৃণা তৈরি হয়নি?
হয়েছে। কিন্তু বিয়ে সেটাকে বদলে দিয়েছে। যখন কাউকে নিজের শতভাগ উজাড় করে দিয়ে বারবার মন ভাঙবে, সেটা জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবেই। এটা পরবর্তী সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রণবীরের জন্য এসব সামলানো কষ্টকর ছিল। আমরা যে এসব পরিস্থিতি থেকে উতরে গেছি, সেটা কেবল তার কারণে।
আপনি কি রণবীরের ফোন ঘাটেন?
দরকার পড়ে না।
আপনাকে বলা রণবীরের সবচেয়ে চমৎকার কথাটা কী ছিল?
সত্যি বলতে, প্রশংসা করতে সে কার্পণ্য করে না। এটা তাকে ভালোবাসার অন্যতম প্রধান কারণ। বছর কয়েক আগে আমি যখন তার চেয়ে বেশি রোজগার করছিলাম, এ নিয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়াই ছিল না, এ নিয়ে কখনো কোনো কথাই বলেনি। এমনকি তার আচরণেও সামান্যতম পরিবর্তন আসেনি।
এশিয়ার আবেদনময়ী নারীর মধ্যে আপনি শীর্ষে...
আমার নামটা ওখানে দেখে আমি খুশি হইনি, তা নয়। কিন্তু এই তকমা দিয়ে আমাকে যাচাই করা যাবে না। কাম ও নাম বিষয় দুটোকে এক করে ফেললে চলবে না। প্রথমেই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে এটা একটা ভুল ট্যাগ। ব্যাপারটা কিন্তু কেবলই শারীরিক নয়; মানসিক, আর্থিক ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও সম্পৃক্ত।
সম্প্রতি আপনি ভারতের চতুর্থ শীর্ষ রোজগার করা তারকা হয়েছেন।
এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত; বিশেষ করে পারিশ্রমিকবৈষম্য নিয়ে যখন কথা হয়। আমি আনন্দিত যে, বিষয়টি সামনে এসেছে। আমি এটা নিয়ে গর্বিত, কারণ আমি এটি অর্জন করেছি, চেয়ে নেইনি।