সিম্বা বনাম সিংঘাম
সুজন আহমেদ | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
সৎ পুলিশ অফিসার সিংঘাম (অজয় দেবগন), তার এলাকার এতিম ছেলে সিম্বা (রণবীর সিং)। কিন্তু সিংহামের মতো নীতিবান নয় সে। বরং পুলিশের লাইনে টাকা কামানো সহজ, এভাবেই দেখে। পুলিশের চাকরি নিয়ে অন্য এলাকায় বদলি হয়ে আসে সিম্বা। হাত মেলায় স্থানীয় গুন্ডা রানাডের (সোনু সুড) সঙ্গে। টাকা আসতে থাকে হাতভর্তি হয়ে।
সাগান (সারা আলী খান) পুলিশ স্টেশনের বাইরে টিফিন সার্ভিস চালায়। তাকে ভালোবাসে সিম্বা, স্বপ্ন দেখে এক দিন এ তরুণীকে বিয়ে করবে। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এক ঘটনায় অবস্থা পাল্টে যায়। রানাডের ছোট ভাই এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে, যাকে ছোট বোন হিসেবে দেখত সিম্বা। তার বোধের দরজা খুলে যায়, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে। এখন দেখার বিষয় কীভাবে প্রতিশোধ নেবে সিম্বা বা সিংঘামের নীতিকথা নিয়ে কী ভাবছে।
‘সিম্বা’র বিরতির আগের চেয়ে পরের ট্রিটমেন্ট পুরোপুরি আলাদা। প্রথম অংশ কমেডিধর্মী, বয়ানও ফুরফুরে মেজাজের। পরের অংশ অনেক বেশি সিরিয়াস ও নীতি উপদেশে ভরপুর। অর্থাৎ, গল্প এগিয়ে এসে নারীর নিরাপত্তায় নোঙর করে। তবে কমেডি থেকে এ অংশে শিফট হওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটু ভাবার দরকার ছিল।
সঞ্জয় লীলা বানসালির সিনেমায় পরপর অভিনয় করে অ্যাওয়ার্ড সিজনে ঝড় তুলেছেন রণবীর। সেখান থেকে রণবীরকে আরো নায়কোচিত করার কৃতিত্ব যাবে রোহিত শেঠির কাছে। আকর্ষণীয় সংলাপ, ধীরগতির অ্যাকশন, তরতাজা নাচের মুদ্রা মিলিয়ে নতুন অবতারে এসেছেন তিনি। ঠিক যেন পানির মধ্যে সাবলীলভাবে বিচরণ করা মাছ। মুখভঙ্গি, ভিন্ন ভিন্ন গলায় কথা বলা মনে করিয়ে দেয় জিম ক্যারিকে। আর পুরো সিনেমায় ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। আবেগি মুহূর্তগুলোও ভালো করেছেন। কিছু দৃশ্য অবাস্তব মনে হলেও প্রতিটি মুহূর্তে বিনোদন দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে ‘কেদারনাথ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে দুর্দান্ত অভিষেক হয় সারা আলী খানের। রোহিত শেঠির এ সিনেমায় সহজ-সরল অবতারে উতরে গেছেন তিনি। রণবীরের সঙ্গে অভিনয় বা নাচের মেজাজের সঙ্গে পুরোপুরি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। অ্যাকশন-কমেডি সিনেমাটিতে তার চরিত্র খুব একটা বড় না হলেও বেশ সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। এবার শক্তিশালী চরিত্রে তার পরীক্ষার পালা।
শক্তিমান অভিনেতা আশুতোষ রানাকে ইদানীং রুপালি পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না। ‘সিম্বা’য় তিনি সৎ কনস্টেবলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রণবীরের চোখ খুলে দেওয়ার কাজটি করেন তিনি। ভালোই করেছেন।
সম্ভবত এটাই রোহিত শেঠি পরিচালিত একমাত্র সিনেমা যেখানে অ্যাকশন দৃশ্যে গাড়ির ওড়াউড়ি দেখা যায়নি। এ ছাড়া তার ট্রেডমার্ক অ্যাকশন ও স্ট্যান্ট দৃশ্য ছিল বরাবরের মতো।
মার্ভেল বা ডিসি কমিকসের সুপারহিরো ইউনিভার্সের পথে হাঁটছেন রোহিত।
চেষ্টা করছেন কপ ইউনিভার্স তৈরির। এ সিনেমায় পুলিশ অফিসার হিসেবে অজয় দেবগন ও অক্ষয় কুমারের ক্যামিও সেটাই বলে। বিষয়টি আগ্রহ জাগানিয়া। দেখা যাক ভবিষ্যতে পুলিশ নিয়ে আর কোন গল্প বলতে চান নির্মাতা।
শেয়ার করুন
সুজন আহমেদ | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

সৎ পুলিশ অফিসার সিংঘাম (অজয় দেবগন), তার এলাকার এতিম ছেলে সিম্বা (রণবীর সিং)। কিন্তু সিংহামের মতো নীতিবান নয় সে। বরং পুলিশের লাইনে টাকা কামানো সহজ, এভাবেই দেখে। পুলিশের চাকরি নিয়ে অন্য এলাকায় বদলি হয়ে আসে সিম্বা। হাত মেলায় স্থানীয় গুন্ডা রানাডের (সোনু সুড) সঙ্গে। টাকা আসতে থাকে হাতভর্তি হয়ে।
সাগান (সারা আলী খান) পুলিশ স্টেশনের বাইরে টিফিন সার্ভিস চালায়। তাকে ভালোবাসে সিম্বা, স্বপ্ন দেখে এক দিন এ তরুণীকে বিয়ে করবে। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এক ঘটনায় অবস্থা পাল্টে যায়। রানাডের ছোট ভাই এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে, যাকে ছোট বোন হিসেবে দেখত সিম্বা। তার বোধের দরজা খুলে যায়, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে। এখন দেখার বিষয় কীভাবে প্রতিশোধ নেবে সিম্বা বা সিংঘামের নীতিকথা নিয়ে কী ভাবছে।
‘সিম্বা’র বিরতির আগের চেয়ে পরের ট্রিটমেন্ট পুরোপুরি আলাদা। প্রথম অংশ কমেডিধর্মী, বয়ানও ফুরফুরে মেজাজের। পরের অংশ অনেক বেশি সিরিয়াস ও নীতি উপদেশে ভরপুর। অর্থাৎ, গল্প এগিয়ে এসে নারীর নিরাপত্তায় নোঙর করে। তবে কমেডি থেকে এ অংশে শিফট হওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটু ভাবার দরকার ছিল।
সঞ্জয় লীলা বানসালির সিনেমায় পরপর অভিনয় করে অ্যাওয়ার্ড সিজনে ঝড় তুলেছেন রণবীর। সেখান থেকে রণবীরকে আরো নায়কোচিত করার কৃতিত্ব যাবে রোহিত শেঠির কাছে। আকর্ষণীয় সংলাপ, ধীরগতির অ্যাকশন, তরতাজা নাচের মুদ্রা মিলিয়ে নতুন অবতারে এসেছেন তিনি। ঠিক যেন পানির মধ্যে সাবলীলভাবে বিচরণ করা মাছ। মুখভঙ্গি, ভিন্ন ভিন্ন গলায় কথা বলা মনে করিয়ে দেয় জিম ক্যারিকে। আর পুরো সিনেমায় ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। আবেগি মুহূর্তগুলোও ভালো করেছেন। কিছু দৃশ্য অবাস্তব মনে হলেও প্রতিটি মুহূর্তে বিনোদন দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে ‘কেদারনাথ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে দুর্দান্ত অভিষেক হয় সারা আলী খানের। রোহিত শেঠির এ সিনেমায় সহজ-সরল অবতারে উতরে গেছেন তিনি। রণবীরের সঙ্গে অভিনয় বা নাচের মেজাজের সঙ্গে পুরোপুরি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। অ্যাকশন-কমেডি সিনেমাটিতে তার চরিত্র খুব একটা বড় না হলেও বেশ সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। এবার শক্তিশালী চরিত্রে তার পরীক্ষার পালা।
শক্তিমান অভিনেতা আশুতোষ রানাকে ইদানীং রুপালি পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না। ‘সিম্বা’য় তিনি সৎ কনস্টেবলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রণবীরের চোখ খুলে দেওয়ার কাজটি করেন তিনি। ভালোই করেছেন।
সম্ভবত এটাই রোহিত শেঠি পরিচালিত একমাত্র সিনেমা যেখানে অ্যাকশন দৃশ্যে গাড়ির ওড়াউড়ি দেখা যায়নি। এ ছাড়া তার ট্রেডমার্ক অ্যাকশন ও স্ট্যান্ট দৃশ্য ছিল বরাবরের মতো।
মার্ভেল বা ডিসি কমিকসের সুপারহিরো ইউনিভার্সের পথে হাঁটছেন রোহিত।
চেষ্টা করছেন কপ ইউনিভার্স তৈরির। এ সিনেমায় পুলিশ অফিসার হিসেবে অজয় দেবগন ও অক্ষয় কুমারের ক্যামিও সেটাই বলে। বিষয়টি আগ্রহ জাগানিয়া। দেখা যাক ভবিষ্যতে পুলিশ নিয়ে আর কোন গল্প বলতে চান নির্মাতা।