পঞ্চাশে কনকচাঁপা
মাসিদ রণ | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
এখন কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইতে গেলেও মন পড়ে থাকে ছবির প্রতি। এক সময় ভাবলাম আমি কি গানের থেকে ছবি আঁকতে বেশি ভালোবাসি? তারপর নিজেই এর উত্তর পেলাম। আসলে সংগীত আর ছবি আঁকা দুই-ই আমার ভালোবাসার জায়গা। তবে প্রথম কোনো কাজের অন্যরকম একটা উত্তেজনা তো থাকবেই
মাসিদ রণ
বাংলা সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। অসংখ্য গান গেয়ে মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। গতকাল ছিল প্রথিতযশা এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এই শিল্পীর এবারের জন্মদিনটা বিশেষ। এবার পঞ্চাশ বছর বয়সে পা রাখলেন কনকচাঁপা। কাল রাত ১২টার পর থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন কনকচাঁপা। ভক্তরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে। সাধারণত জন্মদিন নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন না তিনি। তবে এবারের জন্মদিন প্রসঙ্গে কনকচাঁপা বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে কখনই আমি এক্সাইটেড থাকি না। কারণ, জন্মদিন সত্যিকার অর্থে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেয়। প্রতিটা বছর পার করি আর মনে হয় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে আগাচ্ছি। পৃথিবীকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু এবারের জন্মদিনটা আমার কাছে বিশেষ। কারণ, এই বছর আমি ৫০তম জন্মদিন পালন করছি। নিজেকে ভীষণ সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে আমি অর্ধশত বছর বাস করেছি। আর কতদিন বাঁচব এটা আল্লাহই জানেন।’
আগের মতো এখন আর গানের ভুবনে নিয়মিত নন এই শিল্পী। তাকে ‘প্লেব্যাক কুইন’ বলা হয়। প্লেব্যাকেও আজকাল কম দেখা যায় তাকে। কারণ কী জানতে চাইলে কনকচাঁপা উত্তর দিলেনÑ ‘নতুনরা আসবে, পুরনোদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, এটি চিরায়ত সত্য। এখন নতুন সংগীত পরিচালকরা কাজ বেশি করছেন। তারা নতুন শিল্পীদের বিষয়ে বেশি আগ্রহী। এজন্য প্লেব্যাকে ব্যস্ততা অনেকটা কমে গেছে। এ নিয়ে আমার কোনো অতৃপ্তি নেই। কারণ, গত কয়েক দশকে অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান করেছি। কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছি। একজন শিল্পী হিসেবে এর বেশি কিছু প্রত্যাশাও করিনি।’
কণ্ঠশিল্পীর বাইরেও তার আরও একটি পরিচয় আছেÑ তিনি চিত্রশিল্পী। নিজের আঁকা ছবি নিয়ে একক চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছে এ বছরের এপ্রিলে। ছবি আঁকা ও একক প্রদর্শনী নিয়ে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমার বাবার কাছ থেকেই আঁকাআঁকির গুণটি পেয়েছি। তিনি ছিলেন একজন চিত্রকর। খুব ভালো ছবি আঁকতেন। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আমার ভীষণ ঝোঁক। কিন্তু আব্বা চাইতেন আমি যেন একজন ভালো সংগীতশিল্পী হই। তিনি আমাকে সব বিষয়ে অল্প অল্প করে না শিখিয়ে এই একটি বিষয়েই সেরা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আর এজন্য বাড়ির সব রং-তুলি বাবা লুকিয়ে রাখতেন, যেন গান থেকে আমার মনোযোগ ছবি আঁকার দিকে না ঝুঁকে যায়। তখন সুঁই-সুতার সাহায্যে কাপড়কে ক্যানভাস বানিয়ে সেখানেই ছবি আঁকতাম। এখন মা আমাকে ছবি আঁকার বিষয়ে অনেক অনুপ্রেরণা দেন। আমার বিশ্বাস, বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও আমার এই কাজকে এখন উৎসাহিত করতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইতে গেলেও মন পড়ে থাকে ছবির প্রতি। এক সময় ভাবলাম আমি কি গানের থেকে ছবি আঁকতে বেশি ভালোবাসি? তারপর নিজেই এর উত্তর পেলাম। আসলে সংগীত আর ছবি আঁকা দুই-ই আমার ভালোবাসার জায়গা। তবে প্রথম কোনো কাজের অন্যরকম একটা উত্তেজনা তো থাকবেই।’
কনকচাঁপা শখের বসে লেখালেখিও করেন। ফেইসবুকে প্রায়ই নতুন কবিতা শেয়ার করেন। গানের মতো তার কবিতারও একনিষ্ঠ কিছু ভক্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত লেখালেখিও চলছে। কিছুদিন আগে আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তবে এটি কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারে আনা হয়নি। আমার সন্তানসম প্রয়াত রাশেদীন ফয়সালের উদ্যোগ আর আগ্রহ থেকেই কাজটি করা। তাছাড়া সংসার, নাতনিকে সময় দেওয়াÑ এসব করে দিনকাল ভালোই কেটে যাচ্ছে। আমি আসলে কাজের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসি। অবসর নিতে চাই না। আমার একমাত্র অবসর হবে মৃত্যু।’
ফিরে দেখা
কনকচাঁপার বাবার নাম আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে
তৃতীয় কনকচাঁপা। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে তিনি বাংলা গানের ভা-ারকে সমৃদ্ধ করেছেন। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে কনকচাঁপা সমান পারদর্শী। তিনি ৩২ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে কনকচাঁপার।
কনকচাঁপা বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বশির আহমেদের ছাত্রী। দীর্ঘদিন তার কাছে উচ্চাঙ্গ, নজরুলসংগীতসহ অন্যান্য ভারতীয় সংগীতের তালিম নিয়েছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছেÑ অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন, তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই, ভালো আছি ভালো থেকো, যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয় (প্রয়াত খালিদ হাসান মিলুর সঙ্গে), আমার নাকেরই ফুল বলে রে তুমি যে আমার, তোমায় দেখলে মনে হয়, আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে, অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে, তুমি আমার এমনই একজনসহ অনেক গান।
গানের জন্য রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, দর্শক ফোরাম পুরস্কার, প্রযোজক সমিতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।’
শেয়ার করুন
মাসিদ রণ | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

এখন কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইতে গেলেও মন পড়ে থাকে ছবির প্রতি। এক সময় ভাবলাম আমি কি গানের থেকে ছবি আঁকতে বেশি ভালোবাসি? তারপর নিজেই এর উত্তর পেলাম। আসলে সংগীত আর ছবি আঁকা দুই-ই আমার ভালোবাসার জায়গা। তবে প্রথম কোনো কাজের অন্যরকম একটা উত্তেজনা তো থাকবেই
মাসিদ রণ
বাংলা সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। অসংখ্য গান গেয়ে মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। গতকাল ছিল প্রথিতযশা এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এই শিল্পীর এবারের জন্মদিনটা বিশেষ। এবার পঞ্চাশ বছর বয়সে পা রাখলেন কনকচাঁপা। কাল রাত ১২টার পর থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন কনকচাঁপা। ভক্তরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে। সাধারণত জন্মদিন নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন না তিনি। তবে এবারের জন্মদিন প্রসঙ্গে কনকচাঁপা বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে কখনই আমি এক্সাইটেড থাকি না। কারণ, জন্মদিন সত্যিকার অর্থে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেয়। প্রতিটা বছর পার করি আর মনে হয় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে আগাচ্ছি। পৃথিবীকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু এবারের জন্মদিনটা আমার কাছে বিশেষ। কারণ, এই বছর আমি ৫০তম জন্মদিন পালন করছি। নিজেকে ভীষণ সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে আমি অর্ধশত বছর বাস করেছি। আর কতদিন বাঁচব এটা আল্লাহই জানেন।’
আগের মতো এখন আর গানের ভুবনে নিয়মিত নন এই শিল্পী। তাকে ‘প্লেব্যাক কুইন’ বলা হয়। প্লেব্যাকেও আজকাল কম দেখা যায় তাকে। কারণ কী জানতে চাইলে কনকচাঁপা উত্তর দিলেনÑ ‘নতুনরা আসবে, পুরনোদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, এটি চিরায়ত সত্য। এখন নতুন সংগীত পরিচালকরা কাজ বেশি করছেন। তারা নতুন শিল্পীদের বিষয়ে বেশি আগ্রহী। এজন্য প্লেব্যাকে ব্যস্ততা অনেকটা কমে গেছে। এ নিয়ে আমার কোনো অতৃপ্তি নেই। কারণ, গত কয়েক দশকে অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান করেছি। কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছি। একজন শিল্পী হিসেবে এর বেশি কিছু প্রত্যাশাও করিনি।’
কণ্ঠশিল্পীর বাইরেও তার আরও একটি পরিচয় আছেÑ তিনি চিত্রশিল্পী। নিজের আঁকা ছবি নিয়ে একক চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছে এ বছরের এপ্রিলে। ছবি আঁকা ও একক প্রদর্শনী নিয়ে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমার বাবার কাছ থেকেই আঁকাআঁকির গুণটি পেয়েছি। তিনি ছিলেন একজন চিত্রকর। খুব ভালো ছবি আঁকতেন। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আমার ভীষণ ঝোঁক। কিন্তু আব্বা চাইতেন আমি যেন একজন ভালো সংগীতশিল্পী হই। তিনি আমাকে সব বিষয়ে অল্প অল্প করে না শিখিয়ে এই একটি বিষয়েই সেরা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আর এজন্য বাড়ির সব রং-তুলি বাবা লুকিয়ে রাখতেন, যেন গান থেকে আমার মনোযোগ ছবি আঁকার দিকে না ঝুঁকে যায়। তখন সুঁই-সুতার সাহায্যে কাপড়কে ক্যানভাস বানিয়ে সেখানেই ছবি আঁকতাম। এখন মা আমাকে ছবি আঁকার বিষয়ে অনেক অনুপ্রেরণা দেন। আমার বিশ্বাস, বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও আমার এই কাজকে এখন উৎসাহিত করতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইতে গেলেও মন পড়ে থাকে ছবির প্রতি। এক সময় ভাবলাম আমি কি গানের থেকে ছবি আঁকতে বেশি ভালোবাসি? তারপর নিজেই এর উত্তর পেলাম। আসলে সংগীত আর ছবি আঁকা দুই-ই আমার ভালোবাসার জায়গা। তবে প্রথম কোনো কাজের অন্যরকম একটা উত্তেজনা তো থাকবেই।’
কনকচাঁপা শখের বসে লেখালেখিও করেন। ফেইসবুকে প্রায়ই নতুন কবিতা শেয়ার করেন। গানের মতো তার কবিতারও একনিষ্ঠ কিছু ভক্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত লেখালেখিও চলছে। কিছুদিন আগে আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তবে এটি কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারে আনা হয়নি। আমার সন্তানসম প্রয়াত রাশেদীন ফয়সালের উদ্যোগ আর আগ্রহ থেকেই কাজটি করা। তাছাড়া সংসার, নাতনিকে সময় দেওয়াÑ এসব করে দিনকাল ভালোই কেটে যাচ্ছে। আমি আসলে কাজের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসি। অবসর নিতে চাই না। আমার একমাত্র অবসর হবে মৃত্যু।’
ফিরে দেখা
কনকচাঁপার বাবার নাম আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে
তৃতীয় কনকচাঁপা। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে তিনি বাংলা গানের ভা-ারকে সমৃদ্ধ করেছেন। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে কনকচাঁপা সমান পারদর্শী। তিনি ৩২ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে কনকচাঁপার।
কনকচাঁপা বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বশির আহমেদের ছাত্রী। দীর্ঘদিন তার কাছে উচ্চাঙ্গ, নজরুলসংগীতসহ অন্যান্য ভারতীয় সংগীতের তালিম নিয়েছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছেÑ অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন, তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই, ভালো আছি ভালো থেকো, যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয় (প্রয়াত খালিদ হাসান মিলুর সঙ্গে), আমার নাকেরই ফুল বলে রে তুমি যে আমার, তোমায় দেখলে মনে হয়, আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে, অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে, তুমি আমার এমনই একজনসহ অনেক গান।
গানের জন্য রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, দর্শক ফোরাম পুরস্কার, প্রযোজক সমিতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।’